বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দৌড়ঝাঁপ। অথচ ভোটের বিবেচনায় প্রধান বিরোধী দলের প্রধান নেত্রী গত কয়েক মাস ধরে কারাগারে। নির্বাচনের আগে তার মুক্তির কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না স্বয়ং বিএনপির কর্ণধারগণও। এমনকি তারা এই কঠিন ও প্রয়োজনীয় মুহূর্তেও আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি বিশৃঙ্খল ও দুর্বল। অন্যদিকে সরকার তো রীতিমতো বিএনপিকে চাপে রাখার নানারকম কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেই।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া ছাড়া এ দলের নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোনো ব্যক্তি এখনো পর্যন্ত গড়ে ওঠেননি। এদিকে বিএনপিরই কেউ কেউ অভিযোগ তুলছেন, তাদের প্রথম সারির কিছু নেতা সরকারি দলের সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা দেশ দর্শনকে বলেন, দলের চিহ্নিত কিছু ক্ষমতালোভীর জন্যই বিএনপির আজ এ দূরবস্থা।
বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, সর্বশেষ ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন সরকার যেভাবে সামাল দিয়েছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে, তাতে অন্তত আগামী নির্বাচন পর্যন্ত শক্ত কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠার তেমন সম্ভাবনা নেই। সে হিসেবে শুধু খালেদা জিয়ার আশু মুক্তি কেন, বড় কোনো সাজাও হতে পারে এবং সারাজীবন জেলেই থাকতে হতে পারে।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর
[sharethis-inline-buttons]