বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত খ্রিস্টান মিশনারি বাংলাদেশের দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে অনেক বছর ধরেই মুসলিম এবং গারো সম্প্রদায়ের মানুষকে টাকা-পয়সা, বিভিন্ন সুবিধা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে আসছে।
বাংলাদেশে খ্রিস্টান মিশনারিগুলো অনেক আগে থেকেই সক্রিয়; বিশেষত দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে। এটা অনেকেই জানেন। কিন্তু তাদের ফাঁদে পড়ে এ পর্যন্ত কত হাজার মুসলমান খ্রিস্টান হয়েছে এর কোনো সঠিক সংখ্যা কারো জানা নেই। বিস্ময়কর তথ্য হলো, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত নয় লাখ মুসলমান খ্রিস্টান হয়েছেন!
গতকাল রবিবার ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ইসলামে ফিরে আসা এক খ্রিস্টান প্রচারক এমন অবাক করা তথ্য প্রকাশ করেন। ইসলামি দাওয়াহ ইনস্টিটিউট নামের একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরেই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে খ্রিস্টান মিশনারির অপতৎপরতা নিয়ে কাজ করছে। তাদের চক্রান্তের বিভিন্ন দিক মানুষের সামনে উন্মোচন করছে এবং ইতিমধ্যে যারা নানা প্রলোভনে পড়ে খ্রিস্টান হয়ে গেছেন, তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে কাজ করতে গিয়ে সেই খ্রিস্টান প্রচারকের খোঁজ পান। তারা তাকে খ্রিস্টীয় প্রতারণার কথা সঠিক তত্ত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝান। পরে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় ইসলামে ফিরে আসেন। পরে সেখানে একটি মসজিদে জনসম্মুখে খ্রিস্টীয় চক্রান্তেরে অনেক গোপন বিষয় তিনি প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে বাংলাদেশে মুসলিম থেকে খ্রিস্টান হওয়ার সংখ্যা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত নয় লাখ মুসলমান খ্রিস্টান হয়েছে। ইসলামি দাওয়াহ ইনস্টিটিউটের কর্মী মোঃ আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আমিনুল ইসলাম জানান, মুসলমান হওয়া এই ফাদার ১৯৯৫ সালে মুসলিম থেকে খ্রিস্টান হোন। ২৬ বছর মিশনারিতে কাজ করে তিনি তিনশো মুসলমানকে খ্রিস্টান বানান। এজন্য তিনি প্রমোশন পেয়ে ফাদার হোন। এখন ভুল বুঝতে আবার তিনি ইসলামে ফিরে এসেছেন। তার কাছে খ্রিস্টানদের বিপুল পরিমাণ বইও পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। তবে পুনরায় মুসলমান হওয়া সেই ফাদারের নাম-ঠিকানা তিনি জানাননি।
উল্লেখ্য, বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত খ্রিস্টান মিশনারি বাংলাদেশের দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে অনেক বছর ধরেই মুসলিম এবং গারো সম্প্রদায়ের মানুষকে টাকা-পয়সা, বিভিন্ন সুবিধা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে আসছে। কিন্ত এ ব্যাপারে প্রশাসন জোরালো কোনো ভূমিকা নেয়নি। বরং বরাবরই নিষ্ক্রীয় থেকেছে।
অভিযোগ আছে, প্রশাসনের একশ্রেণির অসাধু এবং আত্মভোলা কর্মকর্তাদেরকে হাত করেই তারা বাধাহীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। সচেতন মানুষজন বলছেন, এখনই তাদের অপতৎপরতার লাগাম টেনে ধরা জরুরি। নইলে এদের ভয়ঙ্কর চক্রান্তের জাল পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়বে। জাতিকে দিতে হবে বড় ধরনের মাশুল।
জুনায়েদ আহমেদ: স্টাফ রিপোর্টার
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]