সোমবার দুপুর ১:১০, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

বাংলাদেশে পুলিশি অত্যাচার

মুজিবুর রহমান বকসী

বাংলাদেশে এমন পুলিশ বাহিনীর উপর আস্থা কি করে রাখা সম্ভব? প্রত্যেকটা থানার হাল এমনই যে, টাকার বলে মিথ্যা মামলা দায়ের করা যতটা সহজ, ঠিক ততটাই কঠিন সত্য মামলা দায়ের করা!

পুলিশ যখন চাকরিতে যোগ দেয় তখন তাদেরকে শপথ করানো হয় এই বলে যে, প্রাণ চলে যায় যাবে তবুও নীতির বরখেলাপ করবে না। এবং সর্বোপোরি দেশের মান রক্ষা করবে। শত অপরাধী ছুটে যায় যাক, কিন্তু একজন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন পুলিশের কারণে কষ্ট ভোগ না করে।

অথচ আমাদের দেশে ঘটে এর বিপরীত । বিনা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় অনেক নিরপরাধ মানুষকে। এদের মধ্য থেকে নারীরাও বাদ পড়েনি। ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তাদেরকেও। পুলিশ হেফাজতে চালানো হয় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এরপর চলে নারীদের সাথে রাতভর পুলিশি কুকাম। কোথায় পুলিশ হবে জনগণের বন্ধু, জনগণের আশ্রয় স্থল। না, তখন তারা হয়ে উঠে নরপিশাচ!

বিনা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় অনেক নিরপরাধ মানুষকে। এদের মধ্য থেকে নারীরাও বাদ পড়েনি। ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তাদেরকেও। পুলিশ হেফাজতে চালানো হয় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন।

বাংলাদেশে এমন পুলিশ বাহিনীর উপর আস্থা কি করে রাখা সম্ভব? প্রত্যেকটা থানার হাল এমনই যে, টাকার বলে মিথ্যা মামলা দায়ের করা যতটা সহজ, ঠিক ততটাই কঠিন সত্য মামলা দায়ের করা!

বাংলাদেশের মানুষ পুলিশের উপর ভরসা করা ছেড়ে দিয়েছে সেই বৃটিশ আমল থেকেই। কবে যে এর পরিবর্তন ঘটবে কে জানে? আরেকটি ব্যাপার হলো, নিরপরাধী ধনী অথবা প্রবাসী ব্যক্তিদের উপর টাকার জন্য থানায় চলে নির্মম প্রহার। দেশের মানুষজন এমন দিনের অপেক্ষায় আপেক্ষমান, যেদিন জনগণ সবাই মিলে আন্দোলন শুরু করবে- দেশ থেকে থানা হঠাও, পুলিশ খেদাও!

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply