৭১-এ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো সাধারণ মানুষ। আর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর।
একাত্তরে রাজনীতিকদের মধ্যে তিনটি ভাগ ছিলো। একটি অংশ ভারতে পালিয়েছেন। একটি অংশ পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা দিয়ে পাকিস্তানের জেলে ছিলেন। আর আরেকটি অংশ দেশে থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে শান্তি কমিটি গঠন করেছেন। কেউ ইচ্ছায়, কেউ অনিচ্ছায়, বাধ্য হয়ে।
প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো সাধারণ মানুষ। আর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাংলাদেশী জওয়ানরা। যারা পঁচিশে মার্চের আগ পর্যন্ত স্বাধীনতার কথা কোনোদিন ভাবেননি। অনেকে স্বাধীনতার মানেই বুঝতেন না।
রাজনীতিকরা কেউ পাকিস্তান থেকে, আবার কেউ ভারতের নিরাপদ আশ্রয় থেকে ফিরে ফুলের মালা গলায় দিয়ে হিরো হয়েছেন।
পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংস বর্বর হত্যাযজ্ঞ তাদেরকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিলো। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মাঠের মানুষ মাঠে, ব্যারাকের মানুষ ব্যারাকে ফিরে গেছেন। যুদ্ধাহত পঙ্গু মানুষ কুড়েঘরে ফিরে জীবনসংগ্রাম শুরু করেছেন নতুনভাবে। আর রাজনীতিকরা কেউ পাকিস্তান থেকে, আবার কেউ ভারতের নিরাপদ আশ্রয় থেকে ফিরে ফুলের মালা গলায় দিয়ে হিরো হয়েছেন।
ফারুক ফেরদৌস : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]