ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘আইন সবার জন্য সমান নয়। হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী একজন ইডিয়ট।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের বড়বড় কর্তাব্যক্তিরাও বলছেন যে, আহমদ শফীর হত্যাকারীদের মধ্যে একজন জুনায়েদ বাবুনগরী। রাষ্ট্রের যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে আছেন, তাদের সাথেই বৈঠক করেন বাবুনগরী।
তাহলে এখানে তো আইন বৈষম্যমূলক হয়ে গেল। আমার জন্য এক রকম, সাধারণ মানুষের জন্য আরেক রকম আর বাবুনগরীর জন্য আরেক রকম। একটা অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে আছি।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মোকতাদির চৌধুরী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এ সময় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, হত্যা মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি কমিটি করে। সেই কমিটিতে যারা অন্তর্ভুক্ত হয়, তারা তো একজনও ভালো লোক হওয়ার কথা না। তারাও অনেকে অনেক মামলার আসামি।
তাদের তোয়াজ করছে রাষ্ট্রের যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে আছেন তারা। এর চেয়ে ন্যক্কার ও নিন্দাজনক আর কী হতে পারে?
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে দেওয়া নিজের এজাহার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের লাখ লাখ মানুষ দেখেছে এবং শুনেছে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার লোকেরা আমার বিরুদ্ধে কী বলেছে। আমার নেতৃত্বে নাকি ছাত্রলীগ-যুবলীগ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা চালিয়েছে। আমি নাকি পাখির মতো মানুষ মেরেছি। পাখির মতো যদি মেরে থাকে, তাহলে পুলিশ মেরেছে।
আমি একজন এমপি, একজন দায়িত্বশীল মানুষ। আমি একটা মামলা করেছি, সেই মামলার এজাহারে দেওয়া ফেসবুক লিংক নাকি সিআইডি খুঁজে পায়না। এখন আইন বৈষম্যমূলক হয়ে গেছে। আইন সবার জন্য সমান নয়। তিনি আরও বলেন, আইন যতক্ষণ পর্যন্ত সকলের জন্য সমানভাবে ব্যবহৃত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সভ্যতা বিপন্ন থাকবে। রাষ্ট্রের যতই উন্নতি হোক, এই উন্নতি একদিন মুছে যাবে। কিন্তু সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে। ইউরোপীয়দের আমরা যেভাবেই নিন্দা করিনা কেনও, তারা একটি সভ্য সমাজ গড়ে তুলেছে। আব্রাহাম লিংকন-সক্রেটিস নেই, কিন্তু মানুষ এখনও তাদের কথা মনে করো। পৃথিবীর যেসব জায়গায় সভ্যতা বিকাশ হয়েছে, সেখানে আইনের শাসন আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
আদিত্ব্য কামাল: নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]