“প্রতিবাদকারীরা বলছেন, এটি মানবতার স্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশে এত এত মানবাধিকার সংগঠন থাকলেও তারা এ নিয়ে কথা না বলায় ক্ষোভ ঝাড়েন।” “পরিবার তার চূড়ান্ত অসুস্থতা ও মৃত্যুঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীতভাবে মুক্তির আরজী পেশ করেন।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামি ইউনুছিয়া মাদরাসার সাবেক শিক্ষক ও সাবেক হেফাজত নেতা মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমীর হাসপাতালে ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি ডাণ্ডাবেরি পরিহিত ছবি’ গতকাল থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। জানা যায়, তিনি আগে থেকেই ডায়াবেটিস হাইপ্রেসারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং একবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার পা ভেঙ্গে গিয়েছিল, যা আর কখনোই পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।
আরো জানা যায়, দীর্ঘ দুই মাসের কারাবরণ ও রিমান্ডের ধকল সইতে না পেরে সম্প্রতি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারা কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন গত তিনদিন আগে। অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে এখান থেকে তাকে ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও তার হাত ও পা থেকে ডাণ্ডাবেরি খোলা হয়নি, এমনই একটি ছবি গতকাল থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, এটি মানবতার স্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশে এত এত মানবাধিকার সংগঠন থাকলেও তারা এ নিয়ে কথা না বলায় ক্ষোভ ঝাড়েন। তাদের দাবি, বিশ্বের কোনো দেশে এমন আইন নেই যে একজন বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাণ্ডাবেরি খোলা যাবে না।
এদিকে দেশ দর্শন থেকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ‘পুলিশের ভয়ে’ কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে এমন কিছু প্রকাশ হওয়া তারা আশা করেন না, যার দ্বারা তার উপকার না হয়ে বরং ক্ষতিই হবে। পরিবার তার চূড়ান্ত অসুস্থতা ও মৃত্যুঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীতভাবে মুক্তির আরজী পেশ করেন।
দেশ দর্শনের নিজস্ব সূত্র থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছবি ভাইরাল হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত হাসপাতাল থেকে কারাগারে ফিরিয়ে নেন, যা স্বাস্থঝুঁকি আরো বাড়াবে বলেই মনে হয়। বর্তমানে তিনি নারায়নগঞ্জের কারাগারে আছেন বলেও সূত্রটি জানায়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজত আহুত হরতাল পালনকালে ভাঙচুর ও সহিংসতার অভিযোগে গত ৪ মে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সাবেক এ হেফাজত নেতা। তবে তার দাবি, তিনি এ ভাঙচুর ও সহিংসতার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন।
ক্যাটাগরি: অপরাধ-দুর্নীতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]