শনিবার রাত ১০:২১, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

সামাজিক আন্দোলন নিয়ে তারা রাজনীতি করছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

দেশে যেহেতু কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই, তাই অন্য কোনো ইস্যু ধরে বিরোধী দল ও বিএনপিসহ অন্য কিছু গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা অতীতেও চালিয়েছে।

নারী নির্যাতনবিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে কেউ কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনে কেউ কেউ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন, তাদের উদ্দেশ্য অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া নয়, এই ইস্যুর আড়ালে স্বার্থ চরিতার্থ করা।’

বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশে ইদানীং যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা, বিশেষ করে নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটেছে, সেগুলোর অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ বিষয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে, হবে- তাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই প্রতিবাদের নামে সেখানে যারা সরকারের পদত্যাগ চায় তখন বুঝতে হবে, এদের উদ্দেশ্যটা আসলে কী? তারা চায় এ ইস্যুর আড়ালে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে।’ তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, দেশে যেহেতু কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই, তাই অন্য কোনো ইস্যু ধরে বিরোধী দল ও বিএনপিসহ অন্য কিছু গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা অতীতেও চালিয়েছে। যারা এই নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমি মনে করি, আন্দোলন হওয়া ভালো। এগুলোর প্রতিবাদ হলে সরকারের পক্ষেও ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়। কিন্তু সেটার মধ্যে যখন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আসা হঠকারিতার শামিল।

তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা সব সময় হয়ে আসছে। আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল না। ফলে অনেক ঘটনা ঢাকা পড়ে থাকত। নোয়াখালীর ঘটনাটিও ঢাকা পড়ে যেত যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না আসত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসার পর টেলিভিশনসহ অন্য মিডিয়া স্বক্রিয় হয়েছে। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। অবশ্যই এগুলো অনভিপ্রেত।

নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বহু আগে থেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে। একই ক্ষেত্রে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও কাজ করে যাচ্ছে। আমি মনে করি আজকের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেটা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক অশালীন কনটেন্ট আপলোড হয়। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে তারা নিয়ম-নীতি মানে। এ ধরনের কনটেন্ট আপলোড না করে। এক্ষেত্রে আমাদের সবার সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পাশাপাশি এ ধরনের কনটেন্ট যদি ভবিষ্যতে আপলোড হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply