একটা ইটের ভাটায় মানে মাটি পুড়িয়ে ইট বানানো ছেলেটা সেখানে কাদামাটি একটা বাক্সে করে নতুন ইট তৈরি করছে। আসলে ওর কাজ এটাই, যতো ইট বানাবে তত টাকা পাবে।
ডিজিটাল যুগে এমন দিন দেখতে হবে ভাবতে পারি না। ছেলেটির নাম-গ্রাম জানি না, তবে কর্মস্থলের ঠিকানা জানি। এইতো দুদিন আগে যখন আলহাজ্ব খোদেজা আমিন পাঠাগারে গিয়েছিলাম। হিমু নামে কিছু বই আনতে তখন ওর সাথে পরিচয়।
পরিচয়টা হলো, সেলন্দা বাজারের পিছে এক ইটাখোলায়। বড়াল নদীর পাশ ঘেসে একটা ইটের ভাটায় মানে মাটি পুড়িয়ে ইট বানানো ছেলেটা সেখানে কাদামাটি একটা বাক্সে করে নতুন ইট তৈরি করছে। আসলে ওর কাজ এটাই, যতো ইট বানাবে তত টাকা পাবে। দেখুন ওর বয়সী হাজার হাজার ছেলেমেয়ে ব্যাগভর্তি বই নিয়ে ইস্কুলের দিকে ছুটছে।
ছেলেটিও ছুটছে, কিন্তু ব্যাগভর্তি বই নিয়ে ইস্কুলে নয়।ছুটছে এক অজানা পথে, যেখানে এতো অল্প বয়সে কর্ম করে নষ্ট করছে নিজের দেহ গঠন, আর লাগিয়ে নিচ্ছে অধিক বয়সের বয়সী একটা দাগ।
আসলে ওর আর দোষ। সংসার নামক একটা দুনিয়া আছে ওর। সেখানে মাবাবা ভাই-বোনআছে। আরো হয়তো অনেকেই আছে।
তাদের পেটের তাগিদে হয়তো ও আজ এই অল্প বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে এই কর্ম বেছে নিয়েছে। দেশ কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল পথের পথিক হয়ে তবুও বন্ধ হচ্ছে না শিশুশ্রম। বরং বাড়ছে।
জুবায়ের হোসেন দুখু
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]