ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিমরাইলকান্দি গ্রামে অন্তত একহাজার “অতিদরিদ্র” পরিবার আছে, যাদের সঠিক কোনো তালিকা স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান, পৌরসভা বা কোনো নেতার কাছে নেই। এই অতিদরিদ্রদের প্রায় সবাই শিমরাইলকান্দিতে ভাড়া থাকেন। তাদের কারও স্বামী রিক্সা বা অটো চালায়, দিনমজুর। কারও স্বামী চায়ের দোকানদার, কারও স্বামী অসুস্থ। আবার অনেক মহিলাই তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা। এরা এখন ঘরে না খেয়ে মরছে।
এরা জানে না কোথায় ত্রাণ দেয়, কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে। যাদের কাছেই যায় তারাই তাড়িয়ে দেয়। বলে পরে আসতে। আবার অনেক নেতাই বাইরের গেইট বন্ধ করে “হোম কোয়ারেন্টিনে” আছেন। এদিকে কোথাও জায়গা না পেয়ে তারা ভিড় করছেন দেশ দর্শনের শিমরাইলকান্দির সম্পাদকীয় কার্যালয়ে। প্রতিদিনই পাঁচ-দশজন করে আসছেন। জানাচ্ছেন তাদের দুঃখ ও সমস্যার কথা।
আজ শুক্রবারও এদের কয়েকজন এলেন। জোসনা আক্তার, শারমিনা, রহিমা আক্তারসহ আরো কয়েকজনের সাথে কথা হয়। তারা জানান, কয়েক দিন ধরে এখানে সেখানে দৌড়ঝাপ করছেন সাহায্যের জন্য। কিন্তু কোথাও তারা এখনো পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পানানি। যার কাছেই যান তারা শুধু বলছেন, এখন না আরো পরে। ত্রাণের আশায় তারা কয়েকজন নেতার বাড়িতেও গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখেন, বাড়ির গেইটে তালা লাগানো। অনেকে বলছেন, তারা নাকি “হোমকোয়ারেন্টিনে” আছেন।
এদিকে দেশ দর্শন থেকে শিমরাইলকান্দি-ভাদুঘর ১১ নং ওয়ার্ড কমিশনার ডাবলু মিয়াকে ফোন করলে তার স্ত্রী জানান, এখন তিনি ঘুমাচ্ছেন। আজ শিমরাইলকান্দি গিয়েছিলেন। কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন তালিকা করার জন্য। একশত জনের একটি তালিকা হচ্ছে। আরো একশত জন যোগ করা যাবে। ত্রাণ এলেই সবাইকে দেয়া হবে। এখনো পর্যন্ত সরকারি কোনো সাহায্য বা ত্রাণ আসেনি।
অন্যদিকে হালিমা খানম নামে পৌরসভার আরেকজন জনপ্রতিনিধি জানান, আগামীকাল থেকে দরিদ্রদের জন্য দশটাকা কেজি দরে চাউল দেয়া হবে। তবে শিমরাইলকান্দি ভাদুঘরের স্পটটা কোথায় হবে তা এখনো জানা যায়নি।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]