আজকের এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে মূলত শিক্ষাকে উপেক্ষা করার ফলে। ইসলাম যেন আক্রান্ত না হয় বা হতে পারে এ ব্যাপারে কোনো ভাবনাই ছিল না তৎকালীন ও বর্তমান আলেমদের (যারা ধর্মকে ইজারা নিয়েছে বলে মনে করে)।
ইসলাম ততদিনই স্ট্রং ওয়েতে ছিল, যতদিন রাষ্ট্রের ভার বহন করতে পেরেছে। এখন আর সেদিন যেমন নেই, তেমনি নেই তার জৌলুস আর সৌন্দর্য এবং ক্ষমতা।
ক্ষমতাহীন ইসলাম অসুন্দর এবং অসম্পূর্ণ। একজন ব্যক্তির যদি সমাজে ঘটমান মিথ্যা, ভুল, জুলুমকে বিট করার ক্ষমতা না থাকে তাহলে সে দুর্বল- এটা আমরা সবাই জানি। ঠিক এই অবস্থাটাতেই ইসলাম প্রবেশ করেছে গত শতাব্দীর শুরুরভাগেই। আজ সবকিছুই তার আওতার বাহিরে। এখন সে নিজেই প্রায় দিশেহারা, শুধুমাত্র আমাদের মতো মুসলমানদের বেশি বোঝার কারণে। আর এটা নেতৃত্বদানকারীদের অসাবধানতা, অজ্ঞতার ফসল।এবং এটা একরকম ইচ্ছে করেই করেছে সেটি নির্দ্বিধায় বলা যায়। তারা নির্ঝঞ্ঝাট থাকতে চেয়েছিল সুফীদের মতো।
ফলত ইসলাম এখন ব্যাক্তিস্বর্বস্ব দ্বীন- যা পরিবার পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু বাহিরে না। যে কারণে এর আউটপুট হ্রাস পেয়েছে গাণিতিক হারে। এর দায় মোটাদাগে সকলেরই।
ফুটবল খেলা যারা ভালো বোঝেন তারা এ বিষয়টিও বুঝবেন ভালো। যখন এক, দুই, তিন গোল করে ফেলে শক্তিশালী বা সমশক্তির কোনো দলের বিপরীতে তখন গোল করা দল যদি ডিফেন্সিভ মুডে চলে যায় তখন তারা ঝটপট গোল খেয়ে যায়। কেন? আপনি যতই ভালো খেলেন আর এগিয়ে যান না কেন, আপনাকে পুরোমাঠেই সমান দক্ষতায় খেলতে হবে। নইলে জিত নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারবেন না। ঠিক এ রকমটাই হয়েছে আমাদের।
পাওয়ার এস্টাবলিস্ট দূরে থাক, ইসলাম যেন আক্রান্ত না হয় বা হতে পারে এ ব্যাপারে কোনো ভাবনাই ছিল না তৎকালীন ও বর্তমান আলেমদের (যারা ধর্মকে ইজারা নিয়েছে বলে মনে করে)। ফলত ইসলাম এখন ব্যাক্তিস্বর্বস্ব দ্বীন- যা পরিবার পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু বাহিরে না। যে কারণে এর আউটপুট হ্রাস পেয়েছে গাণিতিক হারে। এর দায় মোটাদাগে সকলেরই। কেউ বাদ যাবে না এর থেকে। আজকের এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে মূলত শিক্ষাকে উপেক্ষা করার ফলে।
মীর শহীদুল্লাহ : অনলাইন এক্টিভিস্ট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]