করোনার চিকিৎসা দিতে গিয়ে বিশেষত দেশের সাধারণ চিকিৎসাব্যবস্থা এবং অন্যদিকে লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়েছে।
‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। ক’দিন পরপরই পুরনো রেকর্ডসব ভেঙ্গে গড়ছে নতুন রেকর্ড। সরকার দিশেহারা। মন্ত্রীসভা সমন্বয়হীন। সিদ্ধান্তগুলো বিশৃঙ্খল, অবিবেচনাপ্রসূত ও অকার্যকর হিসেবেই বারবার প্রমাণিত হচ্ছে।
আর সাধারণ মানুষগুলো যেন সবাই ‘ঘরোয়া আইসিইউতে’। প্রায় একতৃতীয়াংশ মানুষ আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সেটা করোনায় নয়, অন্যান্য অনেক কারণে। বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন, “করোনার চিকিৎসা দিতে গিয়ে বিশেষত দেশের সাধারণ চিকিৎসাব্যবস্থা এবং অন্যদিকে লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়েছে।”
“বিশেষ করে বহু মানুষ মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বেকারত্ব, দুশ্চিন্তা, করোনার ভয়, চিকিৎসাহীনতা, হাসপাতালের অসুস্থ পরিবেশ, বাড়ি-ঘরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাহীনতা ও নেট-আসক্তি ইত্যাদি কারণে।”
উল্লেখ্য, দেশে আবার গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু। তবে এ রকর্ডও যে কোনোদিন ভেঙ্গে যাবে বলেই মনে করছেন অনেকে। এর আগেও দেশে একদিনে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ০৫ আগস্ট, ২৬৪ জনের। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৬১ জনে।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জনে। আজ মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ৪২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৯০৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জন।
ক্যাটাগরি: অপরাধ-দুর্নীতি, প্রধান খবর, মন্তব্য প্রতিবেদন, মন্তব্যেদন, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]