চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি বিরাগ ঘোষণার রাজনীতিটা কী? এ ঘোষণা কি রেজিমের বিভাজনের রাজনীতিকেই উসকে দেয় না? বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে জিইয়ে রাখার যে তৎপরতা, তাকেই কি প্রমোট করা হয় না?
‘রাষ্ট্রচিন্তার’ বিবৃতি পড়লাম। রাষ্ট্রচিন্তা সব মত ও পথের মানুষের সাথে কাজ করতে চায়। নানান মত ও পথের মানুষ তাদের সাথে কাজ করছে- এমন দাবি তাদের। তবে কেবল দুই ধরনের মানুষের প্রতি তাদের বিরাগ জানিয়েছে, একদল দুর্নীতি করে সম্পদ কুক্ষিগত করছে আর বিদেশ পাচার করছে। আরেকদল হল “অল্পকিছু চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী”। এই দ্বিতীয় দলের উল্লেখ, রাষ্ট্রচিন্তার যে রাজনৈতিক প্রকল্প তার সমস্যাকেই হাজির করে মাত্র।
যেহেতু চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি বা আজীবন কারাদণ্ড রায় কার্যকর হয়েই গিয়েছে, রাষ্ট্রচিন্তা চাইলেও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যু থেকে ফিরিয়ে আনতে বা আজীবন কারাদণ্ড থেকে মুক্ত করতে পারবে না। কারণ রাজনীতির বাস্তবতায় তারা হাজির নেই।
তাহলে এই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি বিরাগ ঘোষণার রাজনীতিটা কী? এ ঘোষণা কি রেজিমের বিভাজনের রাজনীতিকেই উসকে দেয় না? বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে জিইয়ে রাখার যে তৎপরতা, তাকেই কি প্রমোট করা হয় না?
মোকাররম হোসাইন: শিক্ষক, সমাজচিন্ত্যক
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]