রবিবার রাত ৪:৩৪, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

মুজিববর্ষ উপলক্ষে লাগানো ঝাড়বাতি এখনো জ্বলছে!

জুনায়েদ আহমেদ

প্রতিদিন সরকারি স্থাপনায় এসব বাতি জ্বালিয়ে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় করা হচ্ছে। অন্যদিকে গরম আসার পূর্বেই সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের খবর আসছে।

বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কের মধ্যেই সরকার জাঁকজমকভাবে উদযাপন করেছে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী, যা নিয়ে অনেক সমালোচানাও হয়েছে। তবে অবাক করা বিষয় হলো, জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের পর প্রায় একসপ্তাহ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে উপলক্ষে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় লাগানো ঝাড়বাতি জ্বালানো এখনো বন্ধ করা হয়নি। এখনো প্রতিদিন নিয়ম করে সন্ধ্যার পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এসব ঝাড়বাতি। চলে পরদিন সকাল ৯টা-১০টা পর্যন্ত। এ নিয়ে জনমনে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জানা যায়, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের সব সরকারি অফিস-আদালতেই সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছিলো লাল, নীল ও বিভিন্ন রঙয়ের ঝাড়বাতি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের অধিকাংশ জায়গায় এসব বাতি এখনও নিয়মিতই জ্বালানো হচ্ছে। গতকাল রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে থানা, কৃষি অফিস, ওভারব্রিজসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় লাল, নীল, হরেক রকমের বাতি জ্বলতে দেখা গেছে।

গতকাল রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ওভারব্রিজে বাতি জ্বলার দৃশ্য

এই প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, এসব বাতি আর কতদিন জ্বলবে, জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের পর প্রায় একসপ্তাহ হতে চললেও এসব বাতি এখনো বন্ধ করা হচ্ছে না কেন?

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরো জাতি মরণঘাতী করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। কী করবে মানুষ, ভেবে পাচ্ছে না। ঠিক এমন বিপর্যয়ের মুহুর্তে মহাধুমধামে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের পরও প্রতিদিন সরকারি স্থাপনায় এসব বাতি জ্বালিয়ে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় করা হচ্ছে। পাশাপাশি এটাকে দেশের মানুষের সাথে একরকম ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হচ্ছে বলেও মনে করেন তারা। অন্যদিকে গরম আসার পূর্বেই সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের খবর আসছে। তাই তারা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় জ্বালানো এসব ঝাড়বাতি দেশের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে দ্রুত বন্ধ করার দাবি জনানা।

জুনায়েদ আহমেদ : স্টাফ রিপোর্টার

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  সারাদেশ

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply