শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া- তারা ধর্মের নামে রাজনৈতিক ধূর্তামির আশ্রয় কম নিয়েছিলেন বলেই তাদের সাথে ইসলামপন্থীদের সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। এদেশ যেহেতু ৯০% মুসলমানের, তাই নামকাওয়াস্তে হলেও ইসলামের পক্ষে কথা বলতে হবে। পছন্দ না হলেও বলতে হবে। এটাই রাজনীতি।
মীর্জা ফখরুলরা খুব ঠাণ্ডা মাথায় নিজের পায়ে কুড়াল মারছে। বামপ্রীতি থেকে আজ তার কামালনীতি বিএনপিকে এদেশের গণমানুষের ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। প্রভুদের খুশি করার জন্য মীর্জা ফখরুলরা এসব বলছে। জানি না, এর বিনিময়ে প্রভুদের খুশি করতে পারবেন কী না।
এদেশের রাজনীতিবিদরা মূলত কেউই শরিয়া আইনে বিশ্বাস করে না। কুরআন ও সুন্নাহকে রাজনীতিরি উৎস মনে করে না। তারপরও এদেশের হুজুরদের খুশি করার জন্য মদীনা সনদ আর কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে না বলে মাঝে মাঝে চমক দেখায়। মাদ্রাসায় জঙ্গী তৈরি হয় না, এদেশের মাদ্রাসাই আসল শিক্ষা এসব চমৎকার বুলি আওড়ায়। এগুলো দেখেও কি বিএনপি ক কিছিই শিখছে না? শিখবে না?
এরদোয়ানরা কামাল আতাতুর্ককে প্রচণ্ড ঘৃণা করে। কিন্তু বাহ্যিকভাবে কিছুই বলে না। সম্মান করে। মাথার ওপর এখনো কামালের ছবি ঝুলিয়ে রাখে। এগুলো রাজনীতির শিল্প।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া- তারা ধর্মের নামে রাজনৈতিক ধূর্তামির আশ্রয় কম নিয়েছিলেন বলেই তাদের সাথে ইসলামপন্থীদের সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। এদেশ যেহেতু ৯০% মুসলমানের, তাই নামকাওয়াস্তে হলেও ইসলামের পক্ষে কথা বলতে হবে। পছন্দ না হলেও বলতে হবে। এটাই রাজনীতি। মীর্জা ফখরুলরা পিউর বাম হতে চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তারা যে সব কূল হারাবে তা তারা বুঝতে পারছে না।
এরদোয়ানরা কামাল আতাতুর্ককে প্রচণ্ড ঘৃণা করে। কিন্তু বাহ্যিকভাবে কিছুই বলে না। সম্মান করে। মাথার ওপর এখনো কামালের ছবি ঝুলিয়ে রাখে। এগুলো রাজনীতির শিল্প। মীর্জা ফখরুল, আপনি রাজনৈতিক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করছেন। ঠিক আছে। কিন্তু আখেরে সফল হতে হলে আপনাদেরকেও কৌশলী হতে হবে। এদেশে ইসলামপন্থীদের ক্ষেপিয়ে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করেই বুঝেছেন। আপনারাও বুঝুন। তারেককেও বুঝান। বিএনপির বড় শক্তি এদেশের নিরব ইসলামপন্থী সমর্থক। এটা ভুলে যাবেন না।
সৈয়দ শামসুল হুদা : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]