শনিবার রাত ১:০৮, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

মানুষের প্রবৃত্তিজাত আবেগ ও সাংঘর্ষিকতা

জাকির মাহদিন

প্রকৃত ধর্মের সামগ্রিক আচরণটা কী? সংঘর্ষ-সংঘাতধর্মী, না মীমাংসাধর্মী? দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক ও পারস্পরিক মীমাংসার বাস্তবতা কী?

মানুষ আবেগী। তার আবেগ অত্যন্ত বেশি। এটা সাধারণত তার পরিবেশ, প্রতিষ্ঠান, ধর্ম, ব্যক্তি ও পরিবারচিন্তা ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত। এই আবেগ আবার সমাজের অন্য অনেক ব্যক্তি, পরিবেশ, প্রতিষ্ঠান, ধর্ম ইত্যাদির সঙ্গে প্রবলভাবে সাংঘর্ষিক। সমস্যাটা এখানেই। এখন প্রত্যেকেই যদি এই স্বাভাবিক জানা-শোনা আর আবেগের ওপর গড়াগড়ি খায় তাহলে সমাজে মানুষ বাস করা কঠিন।

বর্তমান বিশ্বে অনেক ধর্ম আছে। এসব ধর্মের অনুসারীদের অধিকাংশই জন্মগত ও শিক্ষাগতভাবে এটা পেয়েছেন। প্রায় প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্মের প্রতি প্রবল আবেগী। নিজেরটা সত্য বলে জানেন। বিশেষ করে এক্ষেত্রে তাদের ‘আবেগ-অনুভূতি’ সবরকম যুক্তি-বুদ্ধি, বিচার-বিশ্লেষণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা-সহমর্মীতার ভিত্তিতে আলোচনা-পর্যালোচনার পথ রুদ্ধ করে দেয়, যা তাদের সত্য ধর্মকে প্রমাণিত করতে ব্যর্থ হয়।

প্রায় প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্মের প্রতি প্রবল আবেগী। নিজেরটা সত্য বলে জানেন। বিশেষ করে এক্ষেত্রে তাদের ‘আবেগ-অনুভূতি’ সবরকম যুক্তি-বুদ্ধি, বিচার-বিশ্লেষণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা-সহমর্মীতার ভিত্তিতে আলোচনা-পর্যালোচনার পথ রুদ্ধ করে দেয়, যা তাদের সত্য ধর্মকে প্রমাণিত করতে ব্যর্থ হয়।

এই সাধারণ ধারণা, জানা আর আবেগ কখনো বাস্তবজীবনের অসংখ্য সংঘাত-সমস্যা-সংকট নিরসন করে না, করতে পারে না। তাহলে উপায় কি? অনেকগুলো ধর্মের মধ্যে সত্য ধর্ম বাছাই করার পথ কি এবং সত্য ধর্ম দ্বিপাক্ষিক-বহুপাক্ষিক বিচার, স্বার্থ ও অন্যান্য বিষয়ে আবেগকে কতটুকু জোর দেয়?

বিশেষ করে ইহজাগতিক বিষয়গুলোতে নিজেদের প্রাধান্য দেয়, না অন্যদের? অর্থাৎ প্রকৃত ধর্মের সামগ্রিক আচরণটা কী? সংঘর্ষ-সংঘাতধর্মী, না মীমাংসাধর্মী? দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক ও পারস্পরিক মীমাংসার বাস্তবতা কী? এই প্রশ্নগুলো কেবল ধর্মের বাছাইপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অভ্যন্তরীণ দলাদলি-বলাবলিগুলোর বাছাইপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply