আক্রান্ত শিক্ষকরা মুখ খুলতে চান না- পাছে মানুষ কী বলবে, আমার কথা কি কেউ বিশ্বাস করবে- ইত্যাদি ভেবে
দীর্ঘদিন পর্যাবেক্ষণ করে ধারণা করলাম, ছোটবড় মাদরাসাগুলোর অধিকাংশ মুহাতমিমই জাহান্নামী! কারণ এরা যেভাবে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের হক নষ্ট করে, তাতে এ ধারণা একেবারে অমূলক নয়।
এরা মাদরাসার শিক্ষকদেরকে মানুষই মনে করে না। মনে করে যন্ত্র। রাতদিন কাজ করাতে চায়, তবুও যেন তাদের মন তৃপ্ত হয় না। এরা শিক্ষকদের কাছ থেকে না চাইতেই সবকিছু পেতে চায়। আর শিক্ষকরা তাদের কাছে প্রাপ্ত বেতন মাসের পর মাস চেয়ে, এমনকি কাকুতি-মিনতি করেও পায় না। মুহতামিমরা পদে পদে শিক্ষকদের ভুল ধরে। ভুলের খেসারত হিসেবে গালিগালাজ পর্যন্ত করে। কিন্তু কোনো শিক্ষক যদি এদের কোনো ভুল ধরে বা ভিন্নমত পোষণ করে, তাহলে মুহূর্তেই চাকরি চলে যায়। শুধু যে চাকরি চলে যায় তা না; অনেকক্ষেত্রে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে আচ্ছামতন বেইজ্জতি করে তারপর বের করে দেয়া হয়।
এরা মাদরাসার শিক্ষকদেরকে মানুষই মনে করে না। মনে করে যন্ত্র। রাতদিন কাজ করাতে চায়, তবুও যেন তাদের মন তৃপ্ত হয় না। এরা শিক্ষকদের কাছ থেকে না চাইতেই সবকিছু পেতে চায়।
কিন্তু সমস্যা হলো, এদের দ্বারা আক্রান্ত শিক্ষকরা এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না। পাছে মানুষ কী বলবে, আমার কথা কি কেউ বিশ্বাস করবে, প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবার যদি অপমানিত হয়- ইত্যাদি ভেবে। অথচ ভয় না পেয়ে, বুকে সাহস সঞ্চার করে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা দরকার। দরকার এদের ভালোমানুষরূপী মুখোশটা সমাজের সামনে উন্মোচন করার।
এটা করা গেলে, ভবিষ্যত শিক্ষকরা এদের কূটচাল, অপমান থেকে মুক্তি পাবে। সমাজ রেহায় পাবে এই সমস্ত জাহান্নামী মুহতামিম থেকে।
জুনায়েদ আহমেদ: সংবাদকর্মী
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]