মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে বাচঁতে হলে প্রথমেই নিজেকে জানতে হবে। নিজেকে নির্দিষ্ট একটা সময় পেশাগত এবং বাকি সময়টা গঠনমূলক কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে হবে।
আমরা জানি, মাদক একটি সামাজিক ব্যধী। মাদক শুধু একজন মানুষকেই নয়, পুরো একটি সমাজকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে টেনে নিয়ে যায়। মাদক যারা সেবন করে, তাদের ভেতরে মনুষ্যত্ব বলতে যে গুণটা থাকে সেটা তিলে তিলে শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে সমাজে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, ছোট ছোট ছেলেরা সিগারেট পান করছে। আর এই সিগারেট পানের মধ্য দিয়েই মূলত তার নেশার জগতে পা বাড়ানো শুরু হয়।
‘দেখি কী হয়’- এমন একটা ‘রহস্য’ খোঁজার মানসিকতা কাজ করে যুবসমাজের মধ্যে। আর তারা সেই ‘রহস্য খোঁজার মিশনটা’ নেশার জগতেই দেখতে পায়, যার শুরুটা হয় সিগারেট দিয়ে। সিগারেটের পর আগ্রহ বাড়ে গাঁজা সেবনে।
‘দেখি কী হয়’- এমন একটা ‘রহস্য’ খোঁজার মানসিকতা কাজ করে যুবসমাজের মধ্যে। আর তারা সেই ‘রহস্য খোঁজার মিশনটা’ নেশার জগতেই দেখতে পায়, যার শুরুটা হয় সিগারেট দিয়ে। সিগারেটের পর আগ্রহ বাড়ে গাঁজা সেবনে। তারপর ইয়াবা নামক মরণনেশা! ধীরে ধীরে নিজেকে পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে সে নেশার জগতে।
নেশার জগতে শুধু এখানেই শেষ নয়, তার জীবনকে সে নিজেই ঠেলে দেয় ধ্বংসের পথে, কিছু দুষ্টু বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে। মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে বাচঁতে হলে প্রথমেই নিজেকে জানতে হবে। নিজেকে নির্দিষ্ট একটা সময় পেশাগত এবং বাকি সময়টা গঠনমূলক কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে হবে।
মাদক সেবনে কি কি সমস্যা মনবদেহে তৈরী হয় সেগুলোও জানতে হবে। প্রয়োজনে সীমিত পর্যায়ে খেলাধুলাও করতে হবে। শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে হবে। নিজের সৎ ইচ্ছেগুলো জাগিয়ে তুলতে হবে। অসৎ ইচ্ছা ও চিন্তা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধর্মীয় বোধ ও অনুশীলন করতে হবে। তাহলেই মাদকের এই ভয়াবহ ছোবল থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে।
দ্বীন ইসলাম খাঁন : সাংবাদিক
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]