“রিক্সা যার, লাইসেন্স তার, রাস্তা আছে যেখানে, রিক্সা চলবে সেখানে”। আগামী ৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সামনে রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচী।
“রিক্সা যার, লাইসেন্স তার, রাস্তা আছে যেখানে, রিক্সা চলবে সেখানে” এ স্লোগান নিয়ে রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিকগণ তাদের পাঁচ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে একটি ‘ঘরোয়া সংবাদ সম্মেলন’ করেন। এতে আগামী ৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সামনে অবস্থান কর্মসূচীও ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি উক্ত প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মাঝে তারা দু’পাতার একটি লিফলেটও বিতরণ করেন, যাতে তাদের দাবির যৌক্তিকতা, তাদের প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশদের অন্যায় আচরণও তুলে ধরা হয়।
মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশ্বস্ত করতে হবে। মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। জনবহুল এলাকায় রিক্সাস্ট্যান্ড স্থাপন করতে হবে।
এতে বলা হয় “প্রতিদিন অসংখ্য রিক্সা পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে আটক করে স্টেডিয়ামে আটকে রাখা হচ্ছে। ১৫/২০ দিন পর সেগুলোকে ছাড়া হচ্ছে। এই ১৫/২০ দিনে ব্যাটারিচালিত রিক্সার ব্যাটারি অকেজো হয়ে যায়। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।”
আরো বলা হয়, “আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। সকল আটককৃত রিকশার মুক্তি চাই। শহরের যানজট নিরসনের জন্য মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। জনবহুল এলাকায় রিক্সাস্ট্যান্ড স্থাপন করতে হবে। জাতীয় ইমারত নীতিমালা মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে” ইত্যাদি।
আরো পড়ুন> রিক্সাশ্রমিকদের মানবন্ধন ও বিক্ষোভ: উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া
রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিকগণ শহরের যানজটের জন্য বহুতল ভবনের মালিক, পৌরসভা ও প্রশাসনের দুর্নীতিকেই মোটাদাগে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, শহরে যানজটের জন্য রিকশা শ্রমিকের উপর দায় চাপিয়ে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা রিকশা অর্ধেকের বেশি কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি গণবিরোধী। সব রিকশা চালকের রিকশার লাইসেন্স দেওয়া ও এর নিবন্ধন ফি কমাতে হবে।
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]