তবে মিডিয়ার সাথে কথা বলার বিষয়ে আলাউদ্দিনকে নিষেধ করা হয়েছে। মুখ খুলছেন না থানা কর্তৃপক্ষও। এদিকে মাসুম বিল্লাহকে আটকের পরপরই সরাইল থানায় অবস্থান করছেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম ও পুরুষ ভাইস আবু হানিফসহ মাসুম বিল্লাহর কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় একাধিক পুলিশ সদস্য বলছেন, এমন অবস্থা হলে পুলিশের কেউই তো কাজ করতে চাইবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টহল পুলিশের তল্লাশিতে পড়েন মাসুম বিল্লাহ। সরাইল থানার এএসআই মো. আলাউদ্দিন সঙ্গীয় এক কনস্টেবল নিয়ে মাসুমকে তল্লাশি করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন। তবুও ওই পুলিশ অফিসার মাসুমের দেহ তল্লাশি থেকে পিছ পা হননি। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ছয় বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ অবস্থায় মাসুম আবার পুলিশ কর্মকর্তা আলাউদ্দিনকে মারধর করেন। একপর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মাসুম বিল্লাহ সরাইল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মাসুমকে থানায় নেয়ার পর পরই সরাইলের একাধিক জনপ্রতিনিধি পুলিশকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য।
সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল সরাইল) মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, মাসুম বিল্লাহকে তল্লাশি ও ফেনসিডিলসহ আটকের পর পুলিশকে তিনি লাঞ্ছিত করে। তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে সরাইল থানায় মাসুম বিল্লাহসহ তার এক সহযোগিকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিউজ করেছে ডেইলি স্টার, মানব জমিন ও কালের কণ্ঠ। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এখনো পর্যন্ত নিশ্চুপ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া টুয়েন্টিফোর নামে একটি পোর্টাল তাদের ফেসবুক পেজে সংক্ষেপে বিষয়টি জানান দিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার ডিলিট বা হাইড করে দেয়। অন্যদিকে এ ঘটনা এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলছে সমালোচনা।