শনিবার সকাল ১১:৪৩, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর ও নোংরা ভিডিও পোস্ট: সাংবাদিক পরিচয়ধারী দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা। দ্রুত গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক সাংবাদিককে নিয়ে মানহানিকর ও নোংরা ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মানহানিকর ভিডিও প্রচার ও স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে লিটন হোসাইন জিহাদ ও সাখাওয়াত হোসাইন (শাহিন) নামের এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, “আসামীরা নাম মাত্র সাংবাদিক। সাংবাদিকতার পরিচয়ে প্রতারণা করা তাদের নেশা ও পেশা। ……”

১৭ জুন ২ নং আসামী সাখাওয়াত ১নং আসামী লিটনের প্ররোচনা ও সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে পথিক টিভি নামের একটি পেইজে একটি ভিডিও পোস্ট করে। যেখানে বলা হয়, “সাংবাদিক লেবাসধারীরা পথিক টিভির অফিস ঝাড়ু দিতো। তারা এই শহরের নর্দমা বা বস্তি থেকে উঠে আসা কিছু মানুষ”, ইত্যাদি ইত্যাদি।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামীদের এমন বক্তব্য ও স্ট্যাটাস বিভিন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায় বা শ্রেণীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সেই ভিডিও লিঙ্কে প্রবেশ করে দেখা যায় আসলেই ভিডিওটি অনেক বাজে এবং নোংরা মন্তব্যে ভরপুর, যা প্রকাশ করার কোনো ভাষা নেই। একটি অনলাইন টিভি চ্যানেলের নাম দিয়ে এমন ভিডিও কন্টেন্টে অনেকেই হতবাক এবং চরমভাবে ক্ষুব্ধ। আজকের অনেক সাংবাদিককে তাদের অফিসে একসময় ঝাড়ুদার, পিয়ন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আরো বলা হয়, এ শ্রেণিটা কুকুর ও মানুষের মিশ্রণে সৃষ্টি ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তারা কারা, কখন তাদের অফিসে ঝাড়ুদার ও পিয়ন ছিল, তাদের পেছনে ঘুরঘুর করতো তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি।

উক্ত ভিডিওটি আজ বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা পর্যন্ত তাদের পেইজে দৃশ্যমান ছিল, তারপর ডিলিট করে ফেলা হয়। এই ভিডিও কন্টেন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে লিটন হোসাইন দেশ দর্শনকে জানান, ভিডিওটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না এবং ভিডিওটি দেখেননি। তবে যদি এমন হয়ে থাকে এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

 

ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply