ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একই দিনে পৃথক তিন উপজেলায় তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১২ জুন) দুপুরে তিন মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। জেলার বিজয়নগর, নবীনগর ও কসবা উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়াদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ।
নবীনগর থানা পুলিশ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ জানান, নবীনগরের পৌর এলাকার ভোলাচংয়ে আল-আমিন (২৩) অনেকটা অভাব অনটনে ছিলেন। এই অভাব-অনটনের জেরে তার স্ত্রীও শ্বশুরবাড়িতে চলে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, হতাশাগ্রস্ত হয়ে শনিবার সকালে ফাঁসিতে ঝুলে আল-আমিন আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা জানান, উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিরাসার গ্রামের সুমা আক্তার (২৪) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুমা আক্তার ওই এলাকার ওমান প্রবাসী সোহেল মিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে সুমা আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মাহবুব মিয়ার স্ত্রী চার সন্তানের জননী আকলিমা (৩৫) চালের পোকা মারা ওষুধ খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানতে পেড়েছি। কিন্তু কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, ওষুধ খাওয়ার পর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সে মারা যায়। মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা আছে।
আদিত্ব্য কামাল,নিজস্ব প্রতিবেদক।
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]