খাশুগজী ইস্যুতে কোনো একটা ডিলের অংশ হিসেবে তাকে ছাড়া হয়েছে। এতে তুরষ্কের পরাজয় বা ছোট হওয়ার কী আছে? এখন উপযুক্ত মূল্য হয়তো পেয়েছে, তাই ছেড়েছে। এটা বিশ্বরাজনীতির একটা খেলা। এ ধরণের লেনদেন স্বাভাবিক ঘটনা।
ব্রানসনের মুক্তির ঘটনা তুরষ্কের বা এরদোয়ানের পরাজয় বা এ ধরণের কিছু নয়। ব্রানসন একটা পন্য ছিল তুরষ্কের হাতে। সেটা একদিন না একদিন আমেরিকার কাছে বিক্রি করতো। আগেও গুলেনের বিনিময়ে একটা ডিল করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা সেই মূল্য দিতে রাজি হয়নি। মূল্য কী হতে পারে সেটা নিয়ে দরকষাকষি চলছিল। এখন ধারণা করা হচ্ছে খাশুগজী ইস্যুতে কোনো একটা ডিলের অংশ হিসেবে তাকে ছাড়া হয়েছে। এতে তুরষ্কের পরাজয় বা ছোট হওয়ার কী আছে? এখন উপযুক্ত মূল্য হয়তো পেয়েছে, তাই ছেড়েছে। এটা বিশ্বরাজনীতির একটা খেলা। এ ধরণের লেনদেন স্বাভাবিক ঘটনা। আটক গোয়েন্দাদের আদান প্রদানের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক একটা ব্যাপার। তবে পর্দার আড়ালে হয় সাধারণত। আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার কোল্ড ওয়ারের ইতিহাস যারা জানেন তারা বিষয়টা ভালো বুঝবেন। কেজিবি এবং সিআইএ তাদের এজেন্টদেরকে একে অপরের হাত থেকে এভাবে ছাড়িয়ে নিতো।
কিন্তু এর মানে খাশুগজীর ঘটনার কোনো সহজ সমাধান হয়ে গেছে তাও নয়। এর কারণে সৌদি আরবের উপর থেকে চাপ কমবে না। বরং সৌদি আরবের জড়িত থাকার প্রমাণগুলো সামনে নিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই সৌদি আরবের উপর চতুর্দিক থেকে ভীষণভাবে চাপ প্রয়োগ করা শুরু হয়ে গেছে। নাম উল্লেখ করছি না, ভার্জিনের মতো ইউরোপ এবং আমেরিকার অনেক বড় বড় কোম্পানী সৌদির সাথে করা বিনিয়োগ চুক্তি স্টপ করেছে। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন বয়কট করছে উবারসহ বড় বড় কোম্পানী এবং মিডিয়া মোড়লরা। সৌদির স্বপ্নের নগরী নিওম প্রকল্প থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে অনেক পশ্চিমা প্রকৌশলি এবং উপদেষ্ঠা। তো, অপরাধী অপরাধের সাজা ভোগ করবে। তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই। সাজাটা কতো কঠোর হবে সেটাই দেখার বিষয়।
ক্যাটাগরি: বিশ্বরাজনীতি, মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]