বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সততায় নিষ্ঠায় মানবিকতায় নিজেকে যেমন বিশ্ব শ্রেষ্ঠদের প্রথম সারিতে উন্নীত করেছেন। দেশ ও জাতির উন্নতিতে নিবেদিত প্রাণ নিরলস একজন ব্যক্তিরূপে নিজেকে সফল প্রমাণে সমর্থ হয়েছেন। তরুণদেরও তিনি প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন।
একটি জাতি দেশ তখনই আধুনিক সভ্য রাষ্ট্রের স্বীকৃতি লাভে সক্ষম হয়, যখন দেশটির অবকাঠামো, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি খাতই ক্রমোন্নতি অর্জনে সক্ষম হয়। স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। ঘুষ, দুর্নীতি, মাদক ও যাবতীয় অনিয়ম উশৃঙ্খলতাকে আমলে নিয়ে কার্যকরভাবে এগুলো মোকাবেলা করে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। সাম্প্রদায়িকতা নির্মূলে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করে। জাতিগত শ্রেণীগত বিভেদ বিভক্তি অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমহ্রাসপূর্বক সমাজে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র কার্যকর পদক্ষেপ নেয় এবং প্রতিটি নাগরিক তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
স্বাধীনতার পর নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, সর্বহারা পার্টিসহ মাথাগরম কিছু উচ্চাভিলাষী মানুষের অপরাজনীতি, উর্দিধারী পাকিস্তানবাদী কিছু স্বৈরশাসক, ধর্মবাদী সাম্প্রদায়িক কিছু উগ্র অযোগ্য নেতৃত্বের অপরিণামদর্শীতার কারণে দেশের অনেকগুলো মূল্যবান বছর বিনষ্ট হয়ে গেছে। এতে জাতীয় অগ্রগতি থমকে গিয়েছিল। জাতির জনক ও পরিক্ষীত জাতীয় নেতাদের হত্যার দ্বারা জাতিকে উল্টোপথে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছিল।
সময় বদলেছে। বাংলাদেশ এখনও সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার কাতারে উঠে আসতে না পারলেও বিগত দশ বছরের স্থিতিশীলতায় বিশ্বে বাংলাদেশ আর হেলাফেলার অবস্থানে নেই। বিদ্যুৎ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
অনেক চড়াই উৎরাই অতিক্রম করে জাতি বর্তমানে উন্নয়ন অগ্রগতির ট্র্যাকে উঠেছে। অতীতে সেই কবে থেকে আমরা শুনে আসছি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরের লি কুয়ানকে বলা হতো ছোট দেশের বড় রাষ্ট্রপতি। আর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের গল্প শুনে শুনে নিজ দেশ ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে হতাশা ও তাচ্ছিল্যবোধ করেছি।
সময় বদলেছে। বাংলাদেশ এখনও সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার কাতারে উঠে আসতে না পারলেও বিগত দশ বছরের স্থিতিশীলতায় বিশ্বে বাংলাদেশ আর হেলাফেলার অবস্থানে নেই। বিদ্যুৎ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন, রপ্তানী আয় বৃদ্ধি, মাথাপিছু সতেরশ ডলার আয়, গড় প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশের ওপরে, বেড়ে গেছে আমাদের আয়ুষ্কালও। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সততায় নিষ্ঠায় মানবিকতায় নিজেকে যেমন বিশ্ব শ্রেষ্ঠদের প্রথম সারিতে উন্নীত করেছেন। দেশ ও জাতির উন্নতিতে নিবেদিত প্রাণ নিরলস একজন ব্যক্তিরূপে নিজেকে সফল প্রমাণে সমর্থ হয়েছেন। তরুণদেরও তিনি প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তাই, তরুণদের দেশ ও জাতির উন্নতি সমৃদ্ধি ও মান মর্যাদা বৃদ্ধিতে বিভ্রান্ত বেসামাল উগ্রবাদী ও হতাশাগ্রস্ত না হয়ে এগিয়ে আসা সময়ের দাবী।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]