ইসলাম ও নামাজ নিয়ে বিবিসি বাংলা নিয়মিতই বিতর্কিত রিপোর্ট করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্পৃক্ততা উস্কে দিচ্ছে। এতে করে বাঙালির স্বভাবজাত শান্তশিষ্ট বৈশিষ্ট্য ও শান্তিপ্রিয় চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তাই আজ অনেকেই “বিবিসি বাংলাকে” বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি তুলছেন।
এই কিছুদিন আগেও গাজিপুরের একটি গার্সেন্টসে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস চলাকালীন যোহর, আসর, মাগরিব নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা নিয়ে বিতর্কিত রিপোর্ট করে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে লণ্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি বাংলা।
সমালোচকরা বলছেন, নামাজ নিয়ে বিবিসির এতো চুলকানী কেনো? কোনো গার্মেন্টসে যদি হিন্দুদের জন্য পূজা বাধ্যতামূলক করা হতো, তাহলে কি বিবিসির এই চুলকানি থাকতো, নাকি তাদেরকে বাহবা জানানো হতে?
বিবিসির ঐ রিপোর্টটিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের একটি মিনি সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে। তিনি সকল কর্মকর্তা-কর্মকর্মচারীদের জন্য তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করাকে সংবিধানবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের আইনেই তো বলা আছে ধর্ম কারো উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। কোনো আইন দিয়েই এটাকে বাধ্যবাধকতা করা যায় না।ইসলাম ধর্মও বলে না কারো উপর ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া যাবে। বিষয়টিকে তিনি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে আইনমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়েও সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, আইনমন্ত্রী ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন, এখানে ধর্মকে চাপিয়ে দেওয়া হলো কোথায়? মুসলমাসের জন্য নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, হিন্দুদেরকে তো নামাজ পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে না। তারা আরো বলেন, তিনি সংবিধানের কথা বললেন, সংবিধানে কি বলা আছে যে কেনো মুসলমানকে নামাজের কথা বলা যাবে না বা নামাজ পড়তে বাধ্য করা যাবে না।আইনমন্ত্রীর কথানুযায়ী সংবিধানে যদি এমন কোনো কথা লেখা থেকেও থাকে যে কাউকে নামাজের কথা বলা যাবে না কিংবা নামাজ পড়তে বাধ্য করা যাবে না- তাহলে আমরা সংবিধানকেও পরিত্যাগ করলাম।
অন্যদিকে বেশির ভাগ মানুষ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন অন্যান্য গার্মেন্টসেও এই নিয়ম চালু করার জন্য। তাহলে গার্মেন্টসে চুরি, কাজে ফাঁকি, নারী নিরযাতনসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কাজ কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা।i
জুনায়েদ আহমেদ : স্টাফ রিপোর্টার
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]