সেই অভিনয় ভালো থাকার, সেই অভিনয় হয়তো সম্পর্ক রক্ষার। কিন্তু একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ যতটুকু সুখ নিয়ে বাঁচে তার কিছুই সেই বিত্তবান মানুষগুলো পায় না।
সবার আর্থিক অবস্থা ভালো সমান থাকে না। তাই বলে মন খারাপ করে থাকারও কোনো মানে নাই। সেই পাহাড়ের মত অট্টালিকায় বাস করা মানুষগুলোও যে খুব ভালো আছে তা কিন্তু না! বিশাল এক অভিনয় করে চলে তাদের জীবন। সেই অভিনয় ভালো থাকার, সেই অভিনয় হয়তো সম্পর্ক রক্ষার। কিন্তু একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ যতটুকু সুখ নিয়ে বাঁচে তার কিছুই সেই বিত্তবান মানুষগুলো পায় না। তাদের জীবন হয়ে যায় লবণ ছাড়া তরকারীর মত। এরচেয়ে সহজ ভাষায় বুঝানোর কোনো ভাষা নাই আমার কাছে।
বিত্তবানদের ফিনান্সিয়াল ফ্রীডম থাকার কারণে যা ইচ্ছা তাই হাতের নাগালে পেয়ে যায়, আর এতেই ঘটে বিপত্তি। জীবন হয়ে ওঠে রঙহীন। আমি অনেক বিত্তবানের সাথে কাছ থেকে মিশেছি, এক টেবিলে বসে খেয়েছি এবং উপলব্দি করেছি, তাদের জীবনের আনন্দ বলতে তেমন কিছুই নাই। নতুন নতুন সিস্টেমে টাকা কামাই করা আর খালি পার্টি, পার্টি, পার্টি; এটা কোনো জীবন হতে পারে না।
বিত্তবানদের ফিনান্সিয়াল ফ্রীডম থাকার কারণে যা ইচ্ছা তাই হাতের নাগালে পেয়ে যায়, আর এতেই ঘটে বিপত্তি। জীবন হয়ে ওঠে রঙহীন। আমি অনেক বিত্তবানের সাথে কাছ থেকে মিশেছি, এক টেবিলে বসে খেয়েছি এবং উপলব্দি করেছি, তাদের জীবনের আনন্দ বলতে তেমন কিছুই নাই।
পরিবারের সাথে নাই কোনো বাইন্ডিং, এর পিছনে ওর পিছনে লেগে থাকা । এই মানুষগুলোই এক সময় বিশাল বিষণ্ণ হয়ে যায় জীবন নিয়ে। তাই আমি বলবো, কখনো নিজের জীবনে কেন টাকা নাই, এইসব নিয়ে আক্ষেপ না করে সবসময় এই ফিল করে আনন্দে থাকা উচিৎ যে আমার জীবন অন্তত রঙহীন না।
আমার কথাগুলো শুধুই আমার নিজের চলার পথের উপলব্ধি। কারো চিন্তা-ভাবনার সাথে আমার কথার মিল নাও থাকতে পারে। তবে সব কথার এক কথা, অর্থ-বিত্তের সন্ধানের চেয়ে বরং জীবনে কিভাবে সুখ নিয়ে বাঁচা যায়, সেভাবে জীবনকে সাজানো উচিৎ। ছোট জীবন হাঁসি দিয়ে পার করবেন, নাকি আক্ষেপ, বিষণ্ণতা আর শুন্যতা নিয়ে থাকবেন? সিদ্ধান্ত আপনার।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]