শনিবার বিকাল ৫:১৭, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

বিএসটিআই অনুমোদনহীন হরলিক্সের প্রতারণা

জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব

হরলিক্সের চটকদার বিজ্ঞাপন সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে। মিথ্যা বিজ্ঞাপনে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং তা সামাজিক বৈষম্য তৈরি করছে।

আপনি কি জানেন, বিএসটিআই বা অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ছাড়াই দেশের বাজারে বছরের পর বছর ধরে বিক্রি ও বাজারজাত হয়ে আসছে হরলিক্স। জানা যায়, হরলিক্সের মোড়কে টলার (লম্বা), স্ট্রংগার (শক্তিশালী), শার্পার (মেধা বা বুদ্ধি) লেখা রয়েছে। অর্থাৎ নিয়মিত হরলিক্স সেবন করা শিশুরা সমবয়সী অন্যদের তুলনায় দ্রুত বেড়ে উঠবে এবং বেশি মেধাবী হবে। কিন্তু কোনো গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে তার সূত্র উল্লেখ নেই। মূলত পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর লক্ষ্যে এমন চটকদার ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা । প্লাস্টিক বোতলে অনুমোদন ছাড়া লোগোতে লেখা হয়েছে ক্লিনিক্যালি ‘প্রমাণিত’ ও মোড়কের গায়ে বিভিন্ন উপকারিতার কথা লেখা রয়েছে । কিন্তু কোনো পরীক্ষাগারে এসব বিষয় পরীক্ষা করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি হরলিক্স কর্তৃপক্ষ।

হরলিক্সের চটকদার বিজ্ঞাপন সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে। মিথ্যা বিজ্ঞাপনে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং তা সামাজিক বৈষম্য তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে এতদিন ধরে বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়া হরলিক্স বাজারজাত করছে তা বোধগম্য নয়। অনুমোদন নেই মানে তাদের মানের বিষয়ে কোনো জবাবদিহিতা নেই। হরলিক্সের বোতলের গায়ে লাগানো লেভেলের ভাষা অনুযায়ী এর উপাদানগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মল্টেড বার্লি। সারা বিশ্বে পশু খাদ্য হিসেবেই বার্লি ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। বিজ্ঞাপনের ফাঁদে আকাশ ছোঁয়া দামে বিক্রি করছে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ৷

আপনার সন্তানকে যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেন তাহলে হরলিক্স জাতীয় খাবারের কোনো প্রয়োজন নেই। বেশি করে দুধ, ডিম, শাক-সবজি আর দেশি ফল খান এবং সুস্হ থাকুন।

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply