ভয়ের বিষয় হলো, মোবাইল, ইউটিউব, ফেসবুক অার সবকিছুতে লিংক খোঁজা এই প্রজন্ম সঠিকভাবে ইতিহাস জানে না এবং তাদের নিজস্ব কোনো দর্শন নেই। ফলে ছাত্র, যুবক, বিসিএস ক্যাডার কিংবা সাংবাদিক বা প্রবাসী যে পেশাতেই তারা থাকুক না কেন, বাম ভাবনার এই তরুণ জন গোষ্ঠীর সব ভাবনা, সব কাজ, দিনশেষে ৭১ এর স্বাধীনতাবিরোধী ও অাজীবন বাংলাদেশ বিরোধীদের পক্ষেই চলে যায়।
বাংলাদেশে একটা প্রজন্ম গড়ে উঠেছে যাদের নিজস্ব কোনো রাজনৈতিক দর্শন নেই। এদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, এরা প্রচণ্ড অাওয়ামী লীগ বিরোধী। অাওয়ামী লীগের সমালোচনা করে কেউ কিছু বললে এরা ভীষণ খুশি হয়। তাকে সাহসী মনে করে। তার মানে এই নয় যে তারা বিএনপিকে ভালোবাসে। এরা সরাসরি বাম রাজনীতি না করলেও বেশিরভাগই কথাবার্তায় নিজেদের বাম ঘরানার প্রগতিশীল ভাবতে ভালোবাসে।
এই পর্যন্ত ঠিক থাকলেও বাংলাদেশের ক্ষতি হতো না। কিন্তু ভয়ের বিষয় হলো, মোবাইল, ইউটিউব, ফেসবুক অার সবকিছুতে লিংক খোঁজা এই প্রজন্ম সঠিকভাবে ইতিহাস জানে না এবং তাদের নিজস্ব কোনো দর্শন নেই। ফলে ছাত্র, যুবক, বিসিএস ক্যাডার কিংবা সাংবাদিক বা প্রবাসী যে পেশাতেই তারা থাকুক না কেন, বাম ভাবনার এই তরুণ জন গোষ্ঠীর সব ভাবনা, সব কাজ, দিনশেষে ৭১ এর স্বাধীনতাবিরোধী ও অাজীবন বাংলাদেশ বিরোধীদের পক্ষেই চলে যায়।
অামি বলবো, মানবিকতার অবক্ষয়, অামাদের বাজে শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থের সহজলভ্যতা এবং প্রযুুক্তির অপব্যবহারের কারণে এদের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। অথচ বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধ ও চার নীতির অালোকে গড়তে হলে এদের থামাতেই হবে। তাহলে সমস্যার সমাধান কী?
অামি বলবো, অাজীবন অাওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও এদের ঠেকাতে পারবে না, যদি না দেশে মুক্তিযুদ্ধের দর্শনে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়। যদি না দেশে দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ করে সর্বত্র ন্যায় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়। কাজেই অাগামী নির্বাচনে অামি সত্যিকারের মানবিক ও সৎ মানুষগুলোকে দেখতে চাই, যারা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শতভাগ একাট্টা। অামি জানি, তৃণমূল থেকে রাষ্ট্র সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা গেলেই শুধুমাত্র বাংলাদেশটা অাগাবে, নয়তো নয়। কখনোই নয়। সেই সুন্দর, মানবিক বাংলাদেশের অাশায় অামি প্রতিটা দিন গুণি।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]