শনিবার বিকাল ৪:৫০, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

বউ-শাশুড়ি যুদ্ধ ও বেয়াই-বেয়াইন খেলা

সরকার জুম্মান

কিশোর থেকে বৃদ্ধ সর্বস্তরের চিন্তা চেতনা এখন যৌনতাকেন্দ্রিক। আর সমাজে খুল্লামখুল্লা নর-নারীর প্রদর্শন আগুনে তুষ ঢালার মত। ফলে অল্পতেই কিশোর যুবকে পরিণত, কিশোরী গুছিয়ে ওঠার অাগেই হয়ে উঠে যুবতী। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে হয় প্রেম ভালোবাসার আদলে যৌনচর্চা। যার পরিণতি মৃত্যুকাল পর্যন্ত বহন করতে হয় উভয়কেই।

বর্তমান সমাজে মানুষের জীবন ব্যবস্থায় অধিকাংশের সমস্যা- জীবন সমীকরণে গরমিল। বিশেষ করে অস্বস্তি, অনাস্থা বা সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে পতিত হবার মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় ‘বিবাহ’। কিশোর থেকে বৃদ্ধ সর্বস্তরের চিন্তা চেতনা এখন যৌনতাকেন্দ্রিক। আর সমাজে খুল্লামখুল্লা নর-নারীর প্রদর্শন আগুনে তুষ ঢালার মত। ফলে অল্পতেই কিশোর যুবকে পরিণত, কিশোরী গুছিয়ে ওঠার অাগেই হয়ে উঠে যুবতী। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে হয় প্রেম ভালোবাসার আদলে যৌনচর্চা। যার পরিণতি মৃত্যুকাল পর্যন্ত বহন করতে হয় উভয়কেই।

এ স্তর কালক্রমে অতিক্রম করলেই চিন্তা নেই, ব্যস হুট করে বিয়ে। একান্নবর্তী পরিবার যাচাই-বাছাই, চাহিদা-আবদার সব মুরব্বিদের কাজ, বউ হলেই হবে। বউ তো বউই, তারা দেখলেই হবে। একটা মেয়ে বউ হয়ে আসে সংসারে, ছেলের মুখে রুমাল, মেয়ের মাথায় ঘোমটা আর ‘বেয়াই বেয়াইন খেলার’ অভিনয় দিয়ে শুরু হয় দাম্পত্য জীবন। দিন যায় আর পদে পদে প্রকাশ পেতে থাকে এক একটা চরিত্রের আড়াল করা বিষয়গুলো। চাহিদার যোগান আর কর্তৃত্ব- এ দুয়ের টানাটানিতে চলে বউ-শ্বাশুড়ি যুদ্ধ। ধারণার রুপরেখা না মেলায় চলে স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য। তখন কোনো দিক ফাঁস কিছু করার থাকে না, কেবল অভিযোগ ছাড়া। আর যারা ফাঁস করে ফেলে, হয়ে যায় হাতাহাতি, নইলে ডিভোর্স।

এখানে কে দায়ী? দায়ভার কার? এটাই কি নিয়ম? একজন মানুষ সে যে লিঙ্গেরই হোক না কেন, তার নিজস্ব কিছু অস্থায়ী শক্তি আছে যা দ্বারা তার হৃদয়ের ভাব কখনো প্রকাশ হবেই। শরীরের সমস্যা চিহ্নিত না করে যেমন ঔষধ সেবন সম্ভব নয়, তার চেয়ে অধিক জটিল হৃদয়ের সমস্যা, যার ব্যাপারে কার্যত আমরা উদাসীন, বেপরোয়া, নিষ্ক্রিয়। সমস্যা আমাদের মাঝে কৃতকর্ম দ্বারা আসলেও সমাধান চিন্তা ছাড়া সম্ভব নয়।

যাচাই-বাছাই, চাহিদা-আবদার সব মুরব্বিদের কাজ, বউ হলেই হবে। বউ তো বউই, তারা দেখলেই হবে। একটা মেয়ে বউ হয়ে আসে সংসারে, ছেলের মুখে রুমাল, মেয়ের মাথায় ঘোমটা আর ‘বেয়াই বেয়াইন খেলার’ অভিনয় দিয়ে শুরু হয় দাম্পত্য জীবন। দিন যায় আর পদে পদে প্রকাশ পেতে থাকে এক একটা চরিত্রের আড়াল করা বিষয়গুলো। চাহিদার যোগান আর কর্তৃত্ব- এ দুয়ের টানাটানিতে চলে বউ-শ্বাশুড়ি যুদ্ধ। ধারণার রুপরেখা না মেলায় চলে স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য।

যদি কেউ তার অস্তিত্বের দিকে দৃষ্টিপাত করে তার দুর্বলতা পর্যবেক্ষণ করে অধিক চিন্তাশীল ও জীবনগঠনে মূল চালিকাশক্তি এবং রুপরেখা অর্জন করতে না পারে, তবে তার অন্যের দোষের দিকে দৃষ্টি দেয়া কতটা বাঞ্চনীয় বা যৌক্তিক? বরং দোষচর্চা স্ত্রী, পরিবার তথা সংশ্লিষ্টদের কাছে তুষ দিয়ে আগুন বাড়ানোর কাজ করে। নারীর জন্য পুরুষ আর পুরুষের জন্য নারী এক সহজ কিন্তু পেচানো সমীকরণ। যারা জ্ঞান আর চিন্তার সাথে চূড়ান্ত শান্তির লক্ষ্যে জীবন পরিচালিত করবে, তারা নানাবিধ ভোগ, বিলাস আর সুবিধাবঞ্চিত হয়েও হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব করবে। কারণ ভোগের সম্পর্ক শরীরের সাথে, আর শান্তির স্থান হৃদয়ে।

যারা স্বভাবের গতিতে চলতে চাইবে, তারা সমস্ত প্রকার আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসে থেকেও হৃদয়ের তৃপ্তি অর্জনে মরিচিকার খোঁজে বেড়াবে। অতঃপর সবকিছু থেকেও নিঃসঙ্গ হয়ে যাবে এ পৃথিবীতেই। তাই পবিত্র জ্ঞানের তালাশ ও চূড়ান্ত শান্তির উদ্দেশ্যে জীবন গঠনের চিন্তার বিকল্প নেই।

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply