সব পরিবর্তনই স্থায়ী এমন না, কিছু পরিবর্তন ক্ষণস্থায়ী। সময় তাকে দেখে সে কতটা শক্তিশালী, সবল ও দৃঢ় প্রত্যয়ী। কারণ সময়ের পরিবর্তনের সাথেই আমাদের জীবন তার গতিপথ বদলায়। যদি কেউ পরিবর্তনকে না মেনে শুধু পূর্বের অবস্থাকে কামনা শুরু করে, তখনই তার জীবনে নেমে আসে ধ্বস।
সময়ের ঘূর্ণিপাকে জীবন কখন বদলে যায় তা মানুষ নিজেও জানে না। প্রবৃত্তিজাত পরিবর্তনকে আমরা সহজে মেনে নিতে পারলেও প্রবৃত্তিবিরোধী পরিবর্তনকে মানা অতি কঠিন। অথচ মানুষ তার নিজের কল্যাণে সুস্থ ও কল্যাণকর পরিবর্তনকে মেনে নেওয়াটাই শ্রেয়।
সব পরিবর্তনই স্থায়ী এমন না, কিছু পরিবর্তন ক্ষণস্থায়ী। সময় তাকে দেখে সে কতটা শক্তিশালী, সবল ও দৃঢ় প্রত্যয়ী। কারণ সময়ের পরিবর্তনের সাথেই আমাদের জীবন তার গতিপথ বদলায়। যদি কেউ পরিবর্তনকে না মেনে শুধু পূর্বের অবস্থাকে কামনা শুরু করে, তখনই তার জীবনে নেমে আসে ধ্বস।
আধুনিক সমাজের মানুষগুলো যে কোনো পরিবর্তনকে স্থায়ী ভেবে নিরাশার বালুচরে সাঁতরে বেড়ায়, যা তার প্রকৃত বাস্তব জীবনকে করে তোলে বিষাদময়। ভুলে যায় সম্ভাবনার পথটার কথা। যেখানে অসম্ভাবনা আছে সেখানে সম্ভাবনাও আছে। এর বিপরীতে- যেখানে সম্ভাবনা আছে সেখানেও অসম্ভাবনা আছে। সম্ভাবনার পথে চলে থাকা মানুষ অসম্ভাবনাকে অস্বীকার করে আর অসম্ভাবনার পথে চলতে থাকা মানুষগুলো সম্ভাবনার পথটাকে অস্বীকার করে। অথচ সময়ের কাছে দুটোই সত্য।
আরো পড়ুন> অভাবকে ভয় পায় মানসিক রোগীরা
কেউ ব্যর্থ জীবন থেকে মুক্ত হয়ে যখন পরিবর্তনের ধারায় সফলতার দিকে অগ্রসর হয় তখন তার পানে চেয়ে ব্যর্থ মানুষগুলো নিজেদের পরিবর্তনে প্রাণপন লড়াই শুরু করে। তার পাশে মৌচাকে আসা মৌমাছির মত ভিড়তে থাকে। আবার সেই একই ব্যক্তি যখন সফলতার চূড়ান্ত শেখর স্পর্শ করার মুহূর্তে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়, তখন সবাই তাকে ছেড়ে চলে যায়। ঠিক মধু সংগ্রহ করার সময় মোয়ালরা যখন আগুন নিয়ে মৌচাকের দিকে এগিয়ে আসে, তখন মৌমাছি মৌচাক ভুলে অন্যত্র নতুন মৌচাকের সন্ধানে যায়। তাই জীবনের বন্ধুর পথে চলতে গিয়ে বিপরীত মতগুলোকেও আমাদের মেনে চলা উচিত।
কেউ ব্যর্থ জীবন থেকে মুক্ত হয়ে যখন পরিবর্তনের ধারায় সফলতার দিকে অগ্রসর হয় তখন তার পানে চেয়ে ব্যর্থ মানুষগুলো নিজেদের পরিবর্তনে প্রাণপন লড়াই শুরু করে। তার পাশে মৌচাকে আসা মৌমাছির মত ভিড়তে থাকে। আবার সেই একই ব্যক্তি যখন সফলতার চূড়ান্ত শিখড় স্পর্শ করার মুহূর্তে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়, তখন সবাই তাকে ছেড়ে চলে যায়।
অতিরিক্ত বিপরীত মত নিয়ে ভাবনা মানুষের শান্তিময় জীবনকে অশান্তিপূর্ণ করে তুলে। আর বিপরীত মত কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণ নিয়ে আসে আমাদের জীবনে। তাই জীবনের গতির স্বপক্ষে চলে জীবনের স্বাদ গ্রহণ করে সহায়ক মতকে মেনে নেওয়াই শ্রেয়। যে মত জীবনে শান্তি দিতে পারে তা পরীক্ষিত বাস্তব সত্য হলে সেটা আঁকড়ে ধরে জীবনকে সুন্দরভাবে চালানো মানুষের উচিত। আর জীবনের সৌন্দর্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। যখন যে পরীক্ষিত প্রকৃত সৌন্দর্য আমাদের কাছে এসে ধরা দেয় তা আঁকড়ে ধরলে জীবনটা প্রকৃত অর্থে সুন্দর হতে বাধ্য।
লেখকের সব কলাম
কোনো পরিবর্তনই মানুষের উপলব্ধি শক্তির বাইরে নয়। উপলব্ধি করতে চাইলেই করা যায়। হাঁ, তবে যারা নিজেদের উপলব্ধি শক্তিটাকে আবদ্ধ করে রেখেছে তাদের কথা ভিন্ন। কারণ মনুষ্য সমাজে এমন কোনো মানুষ নেই, যার উপলব্ধি করার শক্তি নেই। শক্তি কখনো প্রকাশিত হতে চায় না, তাকে প্রকাশ করতে হয় অনুভূতি দ্বারা। তাই কল্যাণকর পরিবর্তনকে মানতে হলে যথার্থ উপলব্ধি শক্তি জাগিয়ে তোলা প্রতিটি মানুষের জন্য জরুরি। মানুষ শ্রেষ্ঠ হওয়ার অন্যতম কারণ তীব্র উপলব্ধি শক্তি ব্যবহার করে তার স্বজাতিকে বাঁচাতে নিজেকে নিয়োজিত করতে আগ্রহী হওয়া।
শরীফ উদ্দীন রনি : বার্তা সম্পাদক, দেশ দর্শন
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]