গ্রামে গ্রামে কাটা ধানীজমিতে গভীর রাতে বসে যুবসমাজের আসর। জুতার গাম পলিথিনে ভরে অদ্ভুত উপায়ে একটা জঘন্য নেশার সিস্টেম।
গভীর রাতে চলে এসব নেশাকাণ্ড। সন্ধ্যার পরপরই নীরব হতে থাকে গ্রামের পথ-ঘাট। রাত বারোটার পর একেবারে পুরোপুরি নিঝুমপুরী। কোথাও কোনো সাড়া শব্দ নেই, রাতপোকাদের ডাক ছাড়া। থাকে না পথিকের চলাচল। এমন নির্জনতা বেছে নেয় আক্রান্ত যুবসমাজ। নেশায় বুঁদ হয় প্রাণ মজিয়ে। এরই কিছু প্রমাণ পাই গতকাল ধানক্ষেত দেখতে গিয়ে।
এখানে সেখানে অনেক যায়গায় পেলাম গামের কৌটা, পলিথিন, সিগারেটের প্যাকেট, দেশলাইয়ের বক্স ইত্যাদি। কয়েক জায়গাতেই পেলাম এসব নেশার সরঞ্জাম। মাঠজুড়ে না জানি আরো কতো জায়গায় পাওয়া যাবে এসব।
খুবই জরুরি নেশায় আক্রান্ত এসব যুবকদের বাঁচানো। এরাই দেশের শক্তি। নেশার কবলে পড়ে কবরে যাচ্ছে জাতীয় ‘বল’ যুবসমাজ। আইনের দৃষ্টি এ বিষয়ে দ্রুতই পড়া খুবই প্রয়োজন।
এদিকে দেখা যায়, শুধু গ্রামে নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি শহরের চিত্র আরো ভয়াবহ। শহরের শুধু ক্লাব কিংবা কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে নয়, বিভিন্ন বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়েও চলছে শত অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ এবং নেশা ও জুয়া। শহরের পাড়ায় পাড়ায় এসব ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত গতিতে।
তোফায়েল আহমদ: ময়মনসিংহ থেকে
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, ভিডিও নিউজ, শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]