“দেশের প্রতিটি শহুরে এলাকা দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলোর দুর্দশা আমাদের চোখে সহজেই ধরা পড়ে। নদীগুলো যেন গোটা শহরের ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে! আর সেই ডাস্টবিনরূপী নদীগুলো বহন করে চলছে বিষাক্ত প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ।”
আমরা সবাই পরিবেশকে কেন্দ্র করে বেচেঁ থাকি। অথচ এই পরিবেশকেই নানাভাবে দূষিত করে চলছি। পরিবেশ দূষণ কমাতে আমাদেরকে অবশ্যই প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। আমরা প্রতিদিন অতি ন্যূনতম কাজেও প্লাস্টিকের ব্যবহার করি এবং প্রয়োজন শেষে তা যেখানে সেখানে ফেলে দেই। আমাদের ব্যবহৃত এই প্লাস্টিক পদার্থগুলোই পর্যায়ক্রমে বর্জ্য আকারে পরিবেশ দূষণ করছে।
“গোটা দেশে এমন কোনো নগর-মহানগর আবিষ্কার করা সত্যিই কঠিন, যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষিত হচ্ছে না। এ দূষণ থেকে মুক্তি পেতে এ ব্যাপারে আরো অনেক সচেতনতা বাড়াতে হবে”
আমাদের চারপাশে একটু ভাল করে দৃষ্টি বুলালেই প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষিত হওয়ার প্রতিক্রিয়াটি দেখতে পাব। প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা সবচেয়ে বেশি দূষিত হচ্ছে শহরের এলাকাগুলো। বলতে গেলে গোটা দেশে এমন কোনো নগর-মহানগর আবিষ্কার করা সত্যিই কঠিন, যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষিত হচ্ছে না। এ দূষণ থেকে মুক্তি পেতে এ ব্যাপারে আরো অনেক সচেতনতা বাড়াতে হবে। এখন থেকেই নিতে হবে বিভিন্ন পদেক্ষেপ। তা না হলে পরে কান্না করলেও কোনো লাভ হবে না।
দেশের প্রতিটি শহুরে এলাকা দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলোর দুর্দশা আমাদের চোখে সহজেই ধরা পড়ে। নদীগুলো যেন গোটা শহরের ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে! আর সেই ডাস্টবিনরূপী নদীগুলো বহন করে চলছে বিষাক্ত প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তূপ। পথ চলার রাস্তাটুকু ভরে আছে প্লাস্টিক বর্জ্যে। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবকিছুতেই ছেয়ে আছে প্লাস্টিক বর্জ্য। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী ও প্রকৃতিকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
সোহেল খান: অনলাইন ও সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]