নতুন সম্ভাবনার স্পেস কিভাবে ক্রিয়েট হয়? একটা রাজনৈতিক স্পেস যখন সবার্থে বদ্ধ হয়ে পড়ে, তখন সেই স্পেসের অগ্রসর-অনগ্রসর সবাই মিলে প্রায় পুরো জনগোষ্ঠিই নানাভাবে তা থেকে বের হয়ে আসার নতুন পথ খুজঁতে থাকে। কিন্তু অবস্থা যখন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার মত ভয়াবহ ‘টোটালিটারিয়ান-ব্লকড’ স্টেটের হয়, সেই প্রচেস্টা আর কোনভাবেই কাজ করে না। মানুষ হতাশ হয়ে তখন কেবল ইয়া-নফসী ইয়া-নফসী করতে থাকে, আর অনন্তের পথে দৈব-ইশারায় কিছু ঘটে যাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকে। যদিও তাদের অন্তর পরিপূর্ণ থাকে পরিবর্তন করতে পারার আকাঙ্ক্ষায়।
এ অবস্থায় মানুষের যা করণীয় থাকে সেটাকে এতই পর্বত-প্রমাণ কঠিন মনে হতে থাকে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা করার সাহস করে উঠতে পারে না মানুষ। রাজনীতির ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক দিক থেকে দেখলে বুঝা যায়, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতদের রক্তচক্ষু বা কঠিন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নয়, বরং এক্ষেত্রে মূলত মানুষের দৃষ্টির ও জ্ঞানের কিছু দুর্বলতাই প্রধানত দায়ী। এক. এ রকম সময়ে মানুষ কেবল তার সামনের ইমিডিয়েট পলিটিক্যাল ফিল্ড নিয়ন্ত্রণকেই কাজ হিসাবে দেখতে পায় এবং সেটা সাধারণভাবেই ক্ষমতাসীনদের কঠোর নিয়ন্ত্রণের সামনে খুবই দুঃসাধ্য বলে মনে হতে থাকে। দুই. এ অবস্থায় মানুষ রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য ও সেই মত কাজ করার যে অবজেক্টিভ শক্তি সেটার উপর আস্থা রাখতে পারে না। এটা একই সাথে ব্যাবহারিক রাজনীতি ও এর তাত্ত্বিক ভিত্তির উপর জ্ঞান না থাকারও ফল।
এ অবস্থায় ফিল্ড নিয়ন্ত্রণেরও পূর্বের ধাপ হল জনগৌষ্ঠির পলিটিক্যাল উইল অনুযায়ী তাদের বর্তমান পটিক্যাল অধিকারগুলি নিয়ে নানা চ্যনেলে লার্নিং ও প্রচারণা-প্রবাহ তৈরীর কাজ করা। কিন্তু কীভাবে?
১. কোন এক্সিসটিং ইন্টারসাবজেক্টিভ পলিটিক্যাল, ইডিয়োলজিক্যাল আইডিয়া বা হেজিমনিকে চ্যালেন্জ করতে বা চূর্ণ করে দিতে তার চেয়ে শক্তিশালী কোন আইডিয়া বা হেজিমনির উপস্থাপন করতে হবে এটা একেবারেই সাধারণ সূত্র। ব্লকড মোমেন্টে সাধারণত এটা নিয়ে করার সুযোগ থাকে না বলে কর্মীরা মনে করে নেয়; নিলে নতুন পলিটিক্স গ্রো করে না। ওই অবস্থায় এটা করতে পারার পথ খুঁজে বের করার কোন বিকল্প নাই। ২. প্রিএক্সিসটিং রঙ-নোশনগুলি আনলার্ণ ও নিউ আইডিয়া লার্ণ করার মাল্টিচ্যানেল ডিফাইন ও ডেপ্লয় করা এবং নিউ আইডিয়ার ডিজাইন অনুযায়ী সেগুলি নানা ফর্মে ডেসিমিনেইট করা।
এগুলিকে কাজ হিসাবে না নিয়ে সহজ সমাধানের জন্য অনন্তের দিকে তাকিয়ে থাকা কোন রাজনৈতিক জনগৌষ্ঠির জন্যই শুভ ভবিষ্যৎ বয়ে আনে না।
লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]