নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিল আদালত গত ২০ আগস্ট। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মাহমুদা আক্তার শুনানিশেষে কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছিলেন।
অবশেষে আজ (২১ আগস্ট) বিকালে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস শুনানিশেষে মঙ্গলবার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবাকে জামিন দেন। ২ অক্টোবর পর্যন্ত তার এই জামিন বহাল থাকবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন। নওশাবার পক্ষে জামিন শুনানি করেন এ এইচ ইমরুল কাওসার। তিনি বলেন, ‘নওশাবাকে অসুস্থতাজনিত কারণ ও ঈদকে সামনে রেখে বিচারক জামিন দেন।’ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আজ বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ান অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদ। ফেসবুক থেকে তিনি লাইভে বলেন, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, একজনের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে এবং চার জনকে মেরে ফেলেছে।’ তার এই উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে র্যা ব-১ এর ডিএডি মো. আমিনুল ইসলাম উত্তরার পশ্চিম থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।১০ আগস্ট দুই দিনের এবং ৫ আগস্ট চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট আদালতে পাঠানোর পর নওশাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আদালতে সোপর্দ করার আগেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর
[sharethis-inline-buttons]