শনিবার রাত ১:১২, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ধানচাষীদের লোকসান ও অসহায়ত্ব

ড. বায়েজিদ মোড়ল

আমাদের উৎপাদিত ধানের দাম না পেলে আমরা কী করবো? কী করে আমরা ধান চাষ করবো? গত বছর ধান চাষ করে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। এ বছরও লোকসান হবে।

সকালে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম, যশোর বাড়ী একজন ধানচাষী দৌড়ে এসে আমার মোটর সাইকেল আটকে বললেন, স্যার, আমাদের জন্য কিছু করেন।  আমি বললাম, আমি কি করবো আপনার জন্য?
তখন লোকটি বললেন- স্যার, আপনি ড. বায়েজিদ মোড়ল। আপনি শাইখ সিরাজ স্যারের মতো অনুষ্ঠান করেন। আপনার সবুজ বাংলা, শ্যামল বাংলা, সব অনুষ্ঠান আমি দেখি। আপনি আমাদের মাঝে অনুপ্রেরণা। আপনার কথা শুনে দেশে অনেক খামার গড়ে উঠেছে।

আপনারা বললে, একটু চেষ্টা করলে, আমার মতো ধানচাষীরা বেঁচে যাবে! আমাদের উৎপাদিত ধানের দাম না পেলে আমরা কী করবো? কী করে আমরা ধান চাষ করবো? গত বছর ধান চাষ করে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। এ বছরও লোকসান হবে। কৃষি শ্রমিকের মূল্য এতো বেশি যে ধান চাষ আর করতে পারছি না।

“নেতাজী বলেছিলেন, তোমরা রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেবো। এখন আমি বলছি, আমি রক্ত দেবো, তোমরা আমার ধান চাষীদের বাঁচাও।”

আপনি বললে কৃষিমন্ত্রী আপনার কথা শুনবেন। আপনার সাথে কৃষিমন্ত্রীর ভালো সম্পর্ক আছে (আরো কিছু কথা তিনি বললেন, কিছু লোক আমাদের কথা শুনছিলো, আবার মেয়ের স্কুলে যাবার তাড়া)। আমি উনাকে বললাম, ভাই ধানের দাম বাড়ানোর কথা বলতে পারবো না।

উনি উচ্ছস্বরে বললেন, “নেতাজী বলেছিলেন, তোমরা রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেবো। এখন আমি বলছি, আমি রক্ত দেবো, তোমরা আমার ধান চাষীদের বাঁচাও।” সুতরাং বন্ধুরা, আমাদের ধানচাষীদের বাঁচানো যায় কীভাবে, পরামর্শ দিন।

লেখক : ড. বায়েজিদ মোড়ল

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply