অনার্স-মাস্টার্স-ডক্টরেট-মওলানা (বা সমমানের কোনো ডিগ্রি) আমার কাছে শিক্ষা বা যোগ্যতার কোনো মাপকাঠি নয়। তবে এটা আজকাল বড়বেশি মূর্খতা ও গোলামীর মাপাকাঠি হতে পারে।
পাত্রী দেখেছি বলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আমার একজন মেয়েবন্ধু (ফেসবুকের) জিজ্ঞেস করলেন, পাত্রী মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন কি না। আমি বললাম- না, তবে আমি তাকে ‘নিজস্ব স্টাইলে’ মাস্টার্স করাচ্ছি। এরপর তিনি জানতে চাইলেন, আমার সেই নিজস্ব স্টাইলটা কী বা কেমন? উত্তরে বলেছিলাম, কোনোদিন হয়তো সামনাসামনি বলতে চেষ্টা করব। কারণ বিষয়টা লিখে বা বলে বোঝানো আমার পক্ষে কষ্টকর।
কোনো অনার্স-মাস্টার্স-ডক্টরেট-মওলানার পক্ষে মানুষের পরিচয় ও সংজ্ঞা দেয়া, মানুষের মুক্তির কথা বলা বা দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্ব দেয়া, নিঃস্বার্থভাবে মানবতা ও ধর্মের পক্ষে কাজ করা এই আধুনিক বিশ্বে সম্ভব নয়।
সম্পাদকের মিনি কলাম
যা হোক, আজ সামান্য বলছি- অনার্স-মাস্টার্স-ডক্টরেট-মওলানা (বা সমমানের কোনো ডিগ্রি) আমার কাছে শিক্ষা বা যোগ্যতার কোনো মাপকাঠি নয়। তবে এটা আজকাল বড়বেশি মূর্খতা ও গোলামীর মাপাকাঠি হতে পারে। একজন ছেলে বা মেয়ে বিশেষ শ্রেণি-গোষ্ঠী-প্রতিষ্ঠানের গোলামীতে কতটা পরিপক্ক, কর্তৃপক্ষ নিজ স্বার্থ হাসিলে তার উপর কতটা ভরসা করতে পারে সেটা পরিমাপ করার জন্য এটা খুব ভালো একটা সিস্টেম।
আরো পড়ুন> ২৮-৩০ এর আগে বিয়ে নয়
কোনো অনার্স-মাস্টার্স-ডক্টরেট-মওলানার পক্ষে মানুষের পরিচয় ও সংজ্ঞা দেয়া, মানুষের মুক্তির কথা বলা বা দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্ব দেয়া, নিঃস্বার্থভাবে মানবতা ও ধর্মের পক্ষে কাজ করা এই আধুনিক বিশ্বে সম্ভব নয়। এর হাজারটা কারণ আমি বলতে পারি।
জাকির মাহদিন : সমাজগবেষক, সাংবাদিক
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]