রবিবার রাত ১২:৫২, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ঝুঁকিমুক্ত সড়কের দাবী জানাই

মুনশী জাকির হোসাইন

একটি সড়ক দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না! সড়ক দুর্ঘটনা কিন্তু গরীব, ফকির, রাজা-বাদশা, মন্ত্রী-আমলা, কার সন্তান, কার মাতা, কার পিতা, কার নাতি- এসব চিনবে না! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িতে যেমন চেপে বসতে পারে, তেমনি আমার-আপনার উপরও!

 

ট্রাক-বাসগুলো ঘুমের দরকার হলে ঘরে ঢুকে পড়ে, গোসলের দরকার হলে পুকুর-ডোবাতে নেমে যায়, খাওয়ার দরকার হলে হোটেলে ঢুকে পড়ে। চায়ের দোকানেও ঢুকে! এমনকি পড়াশুনার জন্য লাইব্রেরিতেও ঢুকে পড়ে! এগুলো মনে হয় ভূতে চালায়! কারণ দেশের ৩৫ লাখ গাড়ির জন্য ১৯ লাখ ড্রাইভার আছে!

সড়ক দূর্ঘটনায় যারা মারা যাচ্ছেন, তাঁরা হয়ত একপ্রকার বেঁচে যাচ্ছেন! কিন্তু তাদের পরিবার! যারা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য এই রাষ্ট্র, এই সরকার, এই আইন-আদালত অনেক কিছুই করতে পারত! অথচ কিছুই করছে না! সবচেয়ে সহজ কাজ ছিল, প্রতিটি যানবাহন শতভাগ যাত্রী-বীমার আওতায় নিয়ে আসা! বীমা করা থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার শতভাগ চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ পাবে! বর্তমান আইনে যা আছে তা একজন ভিক্ষুকের বাৎসরিক আয়েরও অর্ধেক! এবং আদালতে মীমাংসা হতে কয়েক প্রজন্মের সংগ্রামের প্রয়োজন!

হিসাব তো সোজা; কম্প্রিহেনসিভ ইন্সুরেন্স না থাকলে রাস্তায় কোনো গাড়ি চলবে না! ইন্সুরেন্স করতে হলে গাড়ীর সকল কাগজপত্র আপটুডেট থাকবে, ইন্সুরেন্স ছাড়া গাড়ি চললে পুলিশের নিকট অটো সিগনাল চলে যাবে!

একটি সড়ক দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না! সড়ক দুর্ঘটনা কিন্তু গরীব, ফকির, রাজা-বাদশা, মন্ত্রী-আমলা, কার সন্তান, কার মাতা, কার পিতা, কার নাতি- এসব চিনবে না! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িতে যেমন চেপে বসতে পারে, তেমনি আমার-আপনার উপরও! সুতরাং আপনি যে এই মরণ-ফাঁদেই পড়বেন না সেটার নিশ্চয়তা নেই! আধুনিক, নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত সড়কের দাবী সম্ভব হলে প্রতিদিন করুন, না হলে সপ্তাহে একবার, না হলে মাসিক। তাও না হলে বাৎসরিক! দাবী না করে অধিকার অর্জনের চিন্তা অবাস্তব।

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply