জাফর ইকবাল ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করতে রাজি নন, ভালো কথা। কিন্তু মানুষকে নানাভাবে ভাগ করার জন্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টার আবিষ্কার করলেন। তার আবিষ্কৃত ফিল্টারে তিনি নিজে ও তার দল ছাড়া দেশের সব মানুষ রাজাকার।
মানুষ যে বিষয়ে হীনমন্যতায় ভোগে, সে বিষয়ে বেশি কথা বলে। উদাহরণ হিসাবে আমরা মাসুদা ভাট্টি কিংবা জাফর ইকবালকে দেখতে পারি।
মাসুদা ভাট্টি তার চরিত্র নিয়ে শঙ্কিত; ফলে কেউ তাকে চরিত্রহীন বললেই তিনি ক্ষেপে যান। একইভাবে, জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভীতু, ফলে তাকে এমন একটি ‘মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টার’ আবিষ্কার করতে হলো, যে ফিল্টারে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ঘোষক জিয়াউর রহমান হয়ে যায় রাজাকার। আর যিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন, গর্তে ঢুকেছেন, সেই জাফর ইকবাল হয়ে যায় খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা।
জাফর ইকবাল ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করতে রাজি নন, ভালো কথা। কিন্তু মানুষকে নানাভাবে ভাগ করার জন্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টার আবিষ্কার করলেন। তার আবিষ্কৃত ফিল্টারে তিনি নিজে ও তার দল ছাড়া দেশের সব মানুষ রাজাকার। একজন মানুষের যখন নূন্যতম জ্ঞান ও যুক্তি-বুদ্ধি থাকে না, তখনি কেবল তিনি এমন অসঙ্গত ও পরস্পর বিরোধী কথা বলতে পারেন।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]