শনিবার সন্ধ্যা ৬:০৭, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

জাকির মাহদিন এর আজ ৩৮ তম জন্মদিন: আনুষ্ঠানিকতাহীন

দেশ দর্শন প্রতিবেদক

তরুণ সমাজগবেষক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও দেশ দর্শন সম্পাদক জাকির মাহদিন এর আজ ৩৮ তম জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের এই দিনে (৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার) তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের শিমরাইলকান্দি গ্রামে তার পিতা ও দাদার বাড়িতে জন্মগহণ করেন। তিনি তার পরিবারের মেঝো সন্তান। তার বড় এক ভাই ও দুই বোন এবং ছোট দুই ভাই ও এক বোন রয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি জেলা সদরের সুতিয়ারা গ্রামে।

জানা যায়, ৬ বা ৭ বছর বয়সে তিনি শিমরাইলকান্দির একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন, স্থানীয়ভাবে যা ‘মালেক মাস্টারের স্কুল’ হিসেবে সুপরিচিত। পারিবারিক পরিমণ্ডলে শিমরাইলকান্দির বজলুর রহমান স্যারের তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণে পড়াশুনার পাশাপাশি উক্ত স্কুলে তিনি মাত্র দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন এবং স্কুলে একজন মেধাবী ছাত্র হিসাবে সুনাম অর্জনের পরও পরিবারের ইচ্ছায় তিনি স্থানীয় “তাজুল উলুম তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত” মাদরাসায় ভর্তি হন।

এরপর সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে আল-কোরআন হিফজ সমাপ্ত করে আরো কিছু পড়াশুনা করেন এবং এর পাশাপাশি দু’বছর ‘বিশেষ পদ্ধতিতে পাঠদান’ বিষয়ে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ নেন। এতে তাকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন ও পরিচালনা করেন সেখানকার শিক্ষক হাফেজ আবুল হাসান (কুমিল্লার হুজুর)। তারপর ২০০২ সালে তিনি স্বেচ্ছায় সবরকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে বিদায় জানিয়ে বিভিন্নভাবে শিক্ষা অর্জন, শিক্ষকতা ও জ্ঞানান্বেষণে ব্রতী হন।

কথিত বিপরীত স্রোতও আজকাল স্বীকৃত, প্রথাগত, প্রচলিত ও প্রাতিষ্ঠানিকতার গণ্ডিতে আবদ্ধ একটা বিশাল স্রোত। বাস্তবজীবনে এই প্রধান দুই স্রোতের কোনো একটিতে মিশে যাওয়া ছাড়া কোনো সমাজসচেতন ব্যক্তি নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারে না।

দেশ-সমাজের প্রচলিত প্রথাগত শক্তি ও ব্যক্তির স্রোত ভয়াবহ তীব্র। তবে এর বিপরীত স্রোতটাও কম শক্তিশালী নয়। আবার এই বিপরীত স্রোতে চলার ‘দাবিদারের’ সংখ্যাও অগুণতি। কিন্তু জাকির মাহদিন এমনই এক স্বশিক্ষিত তরুণ, যিনি সেই ‘বিপরীত স্রোতে’রও চরম বিপরীতে চলতে অভ্যস্ত।

কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়টা তেমনই। কেননা কথিত বিপরীত স্রোতও আজকাল স্বীকৃত, প্রথাগত, প্রচলিত ও প্রাতিষ্ঠানিকতার গণ্ডিতে আবদ্ধ একটা বিশাল স্রোত। বাস্তবজীবনে এই প্রধান দুই স্রোতের কোনো একটিতে মিশে যাওয়া ছাড়া কোনো সমাজসচেতন ব্যক্তি নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারে না।

সেই ‘না-পারার’ জায়গা থেকেই তার চিন্তা, গবেষণা, পর্যবেক্ষণ ও কাজের শুরু। ২০০২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রস্তুতি শেষে প্রথমদিকে কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় লেখালেখি করলেও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকলে ধীরে ধীরে তিনি পরিবার ও সমাজ গঠনের বুনিয়াদী কাজে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন।

তার এই ৩৮ তম জন্মদিন উদযাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কখনো তার জন্মদিন আনুষ্ঠানিভাবে পালন করেননি এবং করতেও চান না। তবে প্রতিবছরই দিনটিকে তিনি খুব গুরুত্ব দেন, একাকী থাকতে চেষ্টা করেন এবং মানব জীবনের জন্ম-মৃত্যু, গতি-প্রকৃতি, চাহিদা-উদ্দেশ্য প্রভৃতি বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেন। এতেই তার পরম তৃপ্তি।

তিনি আরো বলেন, ফোনে বা ফেসবুকে অনেকেই এ দিনটিতে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। কোনো আনুষ্ঠানিকতা পছন্দ না করলে বিভিন্নভাবে বিভিন্নজনদের এই শুভেচ্ছা জানানোটা তার কাছে ভালো লাগে। তাই তাদের প্রতিও তিনি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

One response to “জাকির মাহদিন এর আজ ৩৮ তম জন্মদিন: আনুষ্ঠানিকতাহীন”

  1. এস এম শাহনূর says:

    আপনার জন্মদিনে অনেক শুভ কামনা।
    মহান আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন। আমিন।

Leave a Reply