এবার চীনকে সামলাতে ভারত নিজেদের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) থেকে গোয়া উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে বুধবার (৩১ অক্টোবর) দেশটির একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা নিশ্চিত করেছিল। এর আগে নিরাপত্তার কথা ভেবে উক্ত জায়গা বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
যদিও গোয়ার বেশির ভাগ সৈকত নিরাপদ। তারপরও কিছু মৌলিক নিরাপত্তার বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। ১ জুলাই রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী মনোহর অজগাঁওকর এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকেই গোয়ায় ঘুরতে যেতে পারছেন ভ্রমণপিপাসুরা। তবে মেনে চলতে হবে কিছু শর্ত। গোয়ায় প্রতিটি সৈকতের প্রবেশপথে নিরাপত্তা সম্বলিত সংকেত দেওয়া আছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানান, ২৫০টি হোটেলকে কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ সৈকত শহরে এসে পর্যটকদের থাকতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে কোনোভাবেই যেন সং’ক্রমণ না ছড়ায়, সে দিকেও কঠিন নজরদারি রাখা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
সূত্র জানায়, গোয়া সৈকত শহরে ভ্রমণে গেলে পর্যটককে দেখাতে হবে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এটি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারলে কোনো ঝামেলাই থাকবে না। না হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা জমা দিতে হবে প্রশাসনের কাছে। একান্তই যদি কেউ তা সংগ্রহ করতে না পারেন। তাহলে গোয়াতেই বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করানো হবে।
মন্ত্রী মনে করেন, করোনা আত’ঙ্কে এখনো ভীত প্রায় সারা বিশ্ব। ভারতেও দাপট দেখিয়ে চলছে ভাইরাসটি। তবুও রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকেই গোয়া খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে দেশের সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো হোটেল বা আবাসন খোলা যাবে না। সেই সঙ্গে থাকতে হবে করোনা নেগেটিভ সনদ।
ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]