মস্তিষ্কের কাজ যদি কেবল সিদ্ধান্ত গ্রহণই হতো তবে এর গঠন এতো জটিল হওয়ার কোনো দরকারই ছিল না। বিশ্বাসকে পুঁজি করে মানুষকে সামাজিক দুর্বলতায় ঠেলে নিয়ে গিয়ে সাম্প্রদায়িক দাসত্বের ট্রেনিংই যেন দেওয়া হচ্ছে। কিছু মানুষের চিন্তা, বিশ্লেষণ ও প্রশ্নগুলোকে কেতাবি ফতোয়ায় তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে।
সরল সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মস্তিষ্কগুলো “ঠিক না বেঠিক” এর দাসত্বে পরিণত হয়েছে। লোভ, ভয়, বিশ্বাস, প্রতিহিংসা, সাম্প্রদায়িকতা, আর আবেগীয় অনুভূতির জগাখিচুরি বানিয়ে গোগ্রাসে কেবল গিলে যাচ্ছে। ঠিক এবং ভুল- এই দুইয়ের মধ্যেই যে সত্যকে উপলব্ধির প্রক্রিয়া লুকানো, এটি যেন কোনোকালেই তাদের আলোচনায় আসেনি।
মস্তিষ্কের কাজ যদি কেবল সিদ্ধান্ত গ্রহণই হতো তবে এর গঠন এতো জটিল হওয়ার কোনো দরকারই ছিল না। বিশ্বাসকে পুঁজি করে মানুষকে সামাজিক দুর্বলতায় ঠেলে নিয়ে গিয়ে সাম্প্রদায়িক দাসত্বের ট্রেনিংই যেন দেওয়া হচ্ছে। কিছু মানুষের চিন্তা, বিশ্লেষণ ও প্রশ্নগুলোকে কেতাবি ফতোয়ায় তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে।
যতদিন না জাতির সামনে এর নিকষ কালো ছায়ার রূপ উন্মোচিত হবে, ব্যক্তিস্বার্থের বিশাল হাতগুলো স্পষ্ট না হবে, ততদিন পুরো পৃথিবীটাই প্রতিনিয়ত দলে দলে বিভক্ত হতে থাকবে।
যখনই প্রশ্নগুলো ভিত্তিকে নাড়া দেয়, তখনই চলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার নমুনা। যতদিন না জাতির সামনে এর নিকষ কালো ছায়ার রূপ উন্মোচিত হবে, ব্যক্তিস্বার্থের বিশাল হাতগুলো স্পষ্ট না হবে, ততদিন পুরো পৃথিবীটাই প্রতিনিয়ত দলে দলে বিভক্ত হতে থাকবে।
বর্তমানের এই “ঠিক না বেঠিকের” মিথ্যাচার আজকের দিনে দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তাই তোমরা তাদের উপর কর্তৃত্ব না ফলিয়ে তাদের প্রশ্ন করা শিখিয়ে দাও। সত্যটা তারা নিজেরাই আবিষ্কার করবে।
একজন সক্রেটিস খুবই দরকার। তাদের এটা বুঝিয়ে দাও, ১০জন মূর্খের সাথে স্বর্গে যাওয়ার চেয়ে একজন জ্ঞানীর সাথে নরকে যাওয়া অনেক ভালো; যদি তুমি নির্ভীক হও।
নাঈম আহমেদ : শিক্ষার্থী
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]