শনিবার রাত ৪:৫৮, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

চা-স্টলে মুরব্বীদের গীবতচর্চা

দ্বীন ইসলাম খাঁন

সমাজব্যবস্থা কেনো আসলো? এসেছে ভালোর জন্য। অথচ আজকাল সমাজের দিকে তাকালে শুধু অন্যায়ই লক্ষ্য করা যায়।

আমরা অনেকে মিলেমিশে যেখানে যেভাবে বসবাস করি, সেটািই আমাদের সমাজ। সমাজের সবাই এক সমান নয়। যেমন সমান নয় হাতের পাঁচটি আঙ্গুল। কেউ পয়সাওয়ালা (বড়লোক), কেউবা পয়সাওয়ালা নয়; দিনমজুর। কেউ মুচি, দোকানি, ব্যবসায়ী। আমরা এভাবেই সমাজবদ্ধ হয়ে জীবন যাপন করি।

সমাজব্যবস্থা কেনো আসলো? এসেছে ভালোর জন্য। অথচ আজকাল সমাজের দিকে তাকালে শুধু অন্যায়ই লক্ষ্য করা যায়। সমাজের কিছু মানুষ, বিশেষত মুরব্বী শ্রেণির অনেকেই বিভিন্ন দোকানপাটে বসে চা খায় আর মুখে থাকা সুন্নত দাড়ি হাতায়। ওনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়েন। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, তারা সেখানে বসে কার ছেলে, কার মেয়ে কী করেছে সেটা নিয়ে মুখরোচক আলোচনা করেন। অমুকের মেয়ে ভালো না, তমুকের ছেলে খারাপ ইত্যাদি। এসব মানুষদের মুখে শুধু অপরের গীবত করা ছাড়া ভালো কথা শোনা যায় না। যদিও হাদিসে আছে, অন্যের দোষ যিনি গোপন রাখবেন, হাশরের দিন স্য়ংব খোদা সেই বান্দার দোষ গোপন রাখবেন।

গীবত করা মারাত্বক গুনাহ্। আরেকটু লক্ষ করলেই দেখা যায়, যখন কোনো শালিশ বসে কারো বিচারের প্রেক্ষিতে, তখন তারা নিজেরাই দুচোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে কোন পক্ষ একটু শক্তিশালী আর কোন পক্ষ নরম। এখন কথা হলো, শক্ত নরম কেন বললাম, হ্যাঁ এজন্যই বললাম কারণ শক্তের ভক্ত আমরা সকলেই, আর নরমের যম।

গীবত করা মারাত্বক গুনাহ্। আরেকটু লক্ষ করলেই দেখা যায়, যখন কোনো শালিশ বসে কারো বিচারের প্রেক্ষিতে, তখন তারা নিজেরাই দুচোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে কোন পক্ষ একটু শক্তিশালী আর কোন পক্ষ নরম। এখন কথা হলো, শক্ত নরম কেন বললাম, হ্যাঁ এজন্যই বললাম কারণ শক্তের ভক্ত আমরা সকলেই, আর নরমের যম।

শক্তের বিচার কেউ করতে পারে না। উল্টো নরম মানুষটিকেই হুমকি ধামকি দিয়ে নরম মানুষটিকেই ক্ষমা চাইতে হয় ভরা মজলিসে। যদিও নরম মানুষটির কোনো দোষ ছিলো না তখন। কিন্তু সমাজের এই ভণ্ড বিচারকরা পারেনি শক্তিশালী মানুষটির বিচার করতে। পেরেছেন অসহায় নরম মানুষটির মাথা নত করাতে। সমাজে এমন অসংখ্য ঘটনা আজকাল ঘটেই চলেছে।

দ্বীন ইসলাম খাঁন : সাংবাদিক

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply