বুধবার দুপুর ২:৩৪, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

গণেশ উল্টে যাওয়ার ভয়ে শেখ হাসিনা ভীত

রাজনৈতিক প্রতিবেদক

ইদানিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিমাত্রায় ভীত বলেই মনে হচ্ছে। কাদের-ইনুদের উপর তিনি খুব একটা আস্থা রাখতে পারছেন না। তাছাড়া উন্নয়নের বয়ান ও প্রচার যতই করা হোক, শহরকেন্দ্রীক সীমিত জনগোষ্ঠী ছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে কোটি কোটি জনগণ সরকারের প্রতি চরমভাবে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।

ড. কামাল-মান্না-রবদের কথিত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টকে বিদ্রুপ করে প্রধানমন্ত্রী মাত্র কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে দেয়া হবে। এমনকি শ্রোতাও সরবরাহ করা হবে, যেন তারা গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা করতে পারেন।’ কিন্তু এরপরই দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রীসহ সরকারের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনেকেই যুক্তফ্রন্টের এসব দুর্বল নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকেন। স্বভাবসূলভ স্টাইলে ‘বিরোধী পক্ষ’ বানিয়ে তাদের প্রতি একের পর এক কটাক্ষ বর্ষণ করতে থাকেন। এতে তারাও দ্রুতই ফ্রন্ট লাইনে চলে এসেছে। এখন অস্বীকার করার জো নেই, যুক্ত ফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে এক বিশেষ চ্যালেঞ্জ।

এর কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইদানিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিমাত্রায় ভীত বলেই মনে হচ্ছে। কাদের-ইনুদের উপর তিনি খুব একটা আস্থা রাখতে পারছেন না। তাছাড়া উন্নয়নের বয়ান ও প্রচার যতই করা হোক, শহরকেন্দ্রীক সীমিত জনগোষ্ঠী ছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে কোটি কোটি জনগণ সরকারের প্রতি চরমভাবে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ানোয় সুষ্ঠু নির্বাচন ভোটে সরকারের আস্থা নেই। তারা বলছেন, একটি স্বাধীনচেতা বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বছরের পর বছর ধোঁকা দেয়া যায় না। সরকার বেঁচে আছে ফরমালিনের উপর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজও এক অনুষ্ঠানে ড. কামালের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন নৌকা থেকে নেমে এখন ধানের শীষের হাত ধরেছেন, যে ধানে শীষ নেই, চিটা ছাড়া কিছুই নেই।’ অথচ শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগে তার জন্য কোনো ‘ফ্লোর’ রাখেননি।

এদিকে দেশ দর্শনের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ (আইসিইউ) থাকা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন খুবই নেতিবাচক। দেশ দর্শনের পর্যবেক্ষক টিম মনে করছে, সংবিধানের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আবার নির্বাচনের কোনো বিকল্পও দেখছে না সরকার বা অন্যকেউ। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি উল্টে যেতেও পারে শেখ হাসিনার গণেশ। এর কারণ কথিত জাতীয় ঐক্যের পোল্ট্রি নেতাদের নয়, বরং শেখ হাসিনা ভুলগুলো। অর্থাৎ উন্নয়নের নামে জনগণের অতিরিক্ত ভোগান্তি, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা হরণ, বস্তুগত প্রাধান্য ইত্যাদি।

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply