আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা। মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য খুব বরকতপূর্ণ, মহিমান্বিত, ত্যাগ-তিতিক্ষা বা কোরবানির ক্ষেত্র। সর্বোপরি স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের আশা, আনন্দমুখর পরিবেশ। প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর উপর সামর্থ্য অনুযায়ী হজ্ব ফরজ করা হয়েছে। হজ্বের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, আত্মাকে পবিত্র করে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে নিজেকে উৎসর্গ করা বা তওবা করে তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। তিনি তার বান্দার আত্মার পবিত্রতার অবস্থার ভিত্তিতে তার গুনাহকে নেক দ্বারা পূর্ণ করে দিবেন।
এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয়, যার যার চিন্তা-চেতনা, পারিপার্শ্বিক অবস্থার মোকাবেলায় (পারিবারি, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়) তার ভূমিকা বা অবস্থান কী? বর্তমান সমাজে দেখা যায় অনেক উচ্চবিত্ত, গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ, তথাকথিত সুনাম অর্জণকারীরা ধর্মকে যেভাবে সুনামের জন্য ব্যবহার করে তা স্রষ্টার প্রদত্ত পথ-প্রদর্শকরা অনুধাবন তো দূর কথা, কল্পনাও করেনি৷ আমরা কোথায়? ধর্ম কি ব্যবহারিক বিষয়, না মান্যতা? আমরা কি ধর্ম নিয়ে আছি, না পিছিয়ে পড়ছি? হযরত ইব্রাহীমকে (আ) আদেশ করা হয়েছিল তোমার প্রিয় সন্তানকে কোরবানি কর। সেই আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তিনি স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করেছিলেন। পরবর্তীতে কোরবানির আদেশ হল সকল সামর্থ্যবানের জন্য। মূলত কোরবানির লক্ষ্য ও বান্দার অনুভূতি বিবেচ্য বিষয়।
এখন আমাদের মধ্যে হয় কোরবানি নিয়ে প্রতিযোগিতা। লৌকিকতা, সুনাম অর্জন, প্রভাব বা ক্ষমতা অর্জনের চিন্তা। মানুষের অর্থনৈতিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে সুদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। লোক-লজ্জায় সেই সুদের টাকা ব্যবহার করে হলেও এ সুনাম অর্জণ করা চাই।
কোথায় ধর্ম, আর কোথায় আমরা? আমাদের অনুভূতির সংশোধন ও আত্মার পবিত্রতা ছাড়া এই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়।
যাত্রাবড়ি, ঢাকা
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]