মধ্যবিত্তের ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই, যা আছে তা কেবল ভালো লাগাকে অভিনয় করে বিচ্ছেদ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা। তারপর দুজন দুদিকে নিঃসঙ্গে হেঁটে চলা। বিভিন্ন কারণে একে অপরকে দোষারূপ করাটা আমাদের নিত্য দিনের অভ্যাস এবং মনের খোরাকও বটে। এ প্রকৃতির বক্ষে হেঁটে চলা খুব নিদারুণ। প্রতিটা কদমে কদমে বেগ পেতে হয়। ললাটের জল নয়ন জলে মিশে চরণ বেয়ে ধু ধু বালুচরে ঝরে নিমিষেই মসৃণ হয়ে যায়।
বিশ্বাস করার মতো কাউকে খোঁজে পাওয়া না গেলেও নিশ্বাস ছাড়ার মতো এমনসব জায়গার সন্ধান পাওয়া খুব একটা দুষ্কর নয়। পথিকের পথ ফুরিয়ে যায়, কিন্তু গন্তব্যহীন যাযাবর মুসাফিরের চলা অবিরাম। সেই যে কবেকার এক বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে নিশ্চুপ আমার আসা হয়েছিলো। তারপর বছরের পর বছরের আসা-যাওয়া হচ্ছে…
এ অবধি চলার পথে একেক কালে একেক ধরনের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ। কেউ অদ্ভুত, আবার কেউ উদ্ভট। কেউ ঋণী, আবার কেউ পাওনাদার। লাভ-ক্ষতির হিসেব কষতে গিয়ে অনিশ্চিত হিসাবের জের প্রায়শই আমার কাঁধে পড়েছে। তবুও কিছু বলিনি… বলা হয়নি অনেক কিছুই। শুধু অভিমানের আবরণটা খুব আমেজের সহিত স্থান দিয়েছি মুখ দর্পণে।
মধ্যবিত্তের ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই, যা আছে তা কেবল ভালো লাগাকে অভিনয় করে বিচ্ছেদ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা। তারপর দুজন দুদিকে নিঃসঙ্গে হেঁটে চলা। বিভিন্ন কারণে একে অপরকে দোষারূপ করাটা আমাদের নিত্য দিনের অভ্যাস এবং মনের খোরাকও বটে। এ প্রকৃতির বক্ষে হেঁটে চলা খুব নিদারুণ। প্রতিটা কদমে কদমে বেগ পেতে হয়। ললাটের জল নয়ন জলে মিশে চরণ বেয়ে ধু ধু বালুচরে ঝরে নিমিষেই মসৃণ হয়ে যায়। তবুও হাসিফুটে শ্রমিকের মুখে। আমারও ভালো লাগে। অনকেদিনের পোষানো ইচ্ছেটাকে এই পাষাণ মনটা সায় দিয়েছে যে এবার… তপ্ত দুপুরে বের হলাম একটু নিঃশ্বাস ছাড়তে। একে-পরের বিশ্বাসের যে সর্বনাশ ঘটেছে তা এখন প্রতিটা নিঃশ্বাসের তরঙ্গে তরঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে।
তবুও বলি, প্রিয় প্ৰণয়িনী! এবার এই অসুরের সর্বরকম পশুরামি কসুর ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে রেখে মুক্তি দাও চিরতরে। প্রকৃতির বক্ষে ব্যস্ততম কার্যের ভাঁজে আমি কয়লাকে একটু নিজের মতো করে নিমগ্ন হতে দাও। দুশ্চিন্তার করালগ্রাসে তুমি চিন্তা এসে নিজেকে জ্বালিয়ে নিও না আর। সুযোগে অভিযোগ না রেখে চলে যাও আপন পথে। আমি জানি, আমার মতো গর্হিত কর্মের অধিকারীকে নিয়ে টিটকারি করার মতো মানুষের সংখ্যা এখন আর কম নেই। বর্তমান সমাজে কর্মের মর্ম বুঝার মানুষ কম, কিন্তু চর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করার মতো মানুষের আধিক্যতা একটু বেশিই।
এখনকার আপন পণ করে ধন কেড়ে নেয়ার। এখানে তুমিও ব্যতিক্রম না, প্রমাণিত। কিন্তু আপন জানে না, ধন নিলে মণ মিলে, মন মিলে না। যে ব্যক্তি মনকে সম্পত্তির মণ মনে করে সে মনের মানুষ না, ধনের মানুষ। তাই বলি… সময়ে সমন করে না যে, সে আপন। আপনের আচরণ যেন এখন পাবন। আমার বিশ্বাসে তোমার আশ্বাসটাই আমার যতসব সর্বনাশ ডেকে আনলো। সত্যি বলতে কি, একজন মানুষকে দিশেহারা করতে সে মানুষের আপনজনের একটা ইশারাই যথেষ্ট।
সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিবর্গের মধুমাখা কথ্যমালা যার কর্ণে একবার প্রবেশ করেছে, সে যেন সেদিনকার সবচেয়ে বড় হতভাগা। অবশেষে আমার যতনে গড়া প্রেম তুমি আপনের রসালো কথনে পতন হয়েছে। অন্যসব আপনেরচে তুমি আপন একটু ব্যতিক্রম, যে নাকি গোপনে মনের বদলে মন কেড়ে নিয়েছিলে। শয়নে স্বপনে নয়নে মনে যে পণ ছিল তা জং ধরে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে অনেক পূর্বেই। জং ধরা পণে ঢঙ করে রঙ লাগানো যায়, কিন্তু যে মনের রঙ সাদাকালো তা আর রঙিন হয় কি? এখনকার আপন পণ করে ধন কেড়ে নেয়ার। এখানে তুমিও ব্যতিক্রম না, প্রমাণিত।
কিন্তু আপন জানে না, ধন নিলে মণ মিলে, মন মিলে না। যে ব্যক্তি মনকে সম্পত্তির মণ মনে করে সে মনের মানুষ না, ধনের মানুষ। তাই বলি… সময়ে সমন করে না যে, সে আপন। আপনের আচরণ যেন এখন পাবন। আমার বিশ্বাসে তোমার আশ্বাসটাই আমার যতসব সর্বনাশ ডেকে আনলো। সত্যি বলতে কি, একজন মানুষকে দিশেহারা করতে সে মানুষের আপনজনের একটা ইশারাই যথেষ্ট। সেসব আপনের ভুল ধরার ক্ষমতা থাকলেও শুধরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। আপনজনেরা আপনাকে দিয়ে তাদের মনোবাসনা পূরণ করবে কিন্তু আপনাকে শুভকামনা জানাতেও তাদের স্মরণ থাকবে না। আপনি যখন তাদেরকে অধীর আগ্রহে ডাকবেন, তখন তারা বধির হয়েও অনুগ্রহ করবে না।
কোকিল ও উকিলের কর্ম ভিন্ন হলেও চর্ম এবং ধর্মের মর্ম এক। দেখতে কালো রঙের আর তাদের ধর্মের মর্ম হলো সুসময়ের বন্ধু।বিপদে পড়লেই দেখা যায় উকিলের ওকালতি কতদূর! উকিলের ওকালতিতে আসামি ভাবে, তার হবে গতি। কিন্তু গতির ঠেলায় ঘটে তার আর্থিক ক্ষতি। অবশ্যি আপনি সমাজে থাকার বেলায় গতি হতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি না হলেও পারিবারিক ক্ষতি কিংবা সামাজিক ক্ষতি হতে পারে। আপনি যাকে আপন ভেবে সব সমর্পন করেছেন, তা যদি সে সম্পাদন না করে তাহলে আপনার জীবন প্রতিবেদন হবে বড় মর্মান্তিক।
কোকিল ও উকিলের কর্ম ভিন্ন হলেও চর্ম এবং ধর্মের মর্ম এক। দেখতে কালো রঙের আর তাদের ধর্মের মর্ম হলো সুসময়ের বন্ধু।বিপদে পড়লেই দেখা যায় উকিলের ওকালতি কতদূর! উকিলের ওকালতিতে আসামি ভাবে, তার হবে গতি। কিন্তু গতির ঠেলায় ঘটে তার আর্থিক ক্ষতি।
আপনি যখন কোনো কাজ একা করতে যাবেন তখন দেখবেন আপন মানুষগুলো বলবে পরামর্শ নেয়ার জন্যে। আর যখন আপনি তাদের নিকট পরামর্শ নিতে যাবেন তখন দেখবেন তাদের হরেকরকম মতাদর্শ।
অর্থাৎ করবেও না, করতে দিবেও না। মূলত ্এই নীচু জাতের। নীচুকে কিছু না বলে পিছু ফেলে নিজেকে উঁচু করার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই প্রকৃত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা যায় এবং করতেও হয়।
প্রিয়জনের প্রয়োজনে উপার্জনের নেশায় কত মানুষ যে তাঁর স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছে তার কোনো সঠিক হিসেব নেই…..
আপনের জ্বালাতনে
গোপনে নির্জনে
দুঃখের সমীকরণে
অশ্রুসিক্ত নয়নে
মরণের স্মরণে
নত তাঁর চরণে…
সারওয়ার খান
ছবি : দশ নম্বর, ভোলাগঞ্জ, সিলেট
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]