মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। পারিবারিক জীবনে তিনি তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও তিন ছেলে রেখে যান। বড় ছেলে আনিস রাব্বানী পারিবারিক প্রয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ছোট্ট একটি চাকরি করেন।
ময়মনসিংহ সদরের কেওয়াটখালীতে অবস্থিত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর আঞ্চলিক/বিভাগীয় কার্যালয় কেওয়াটখালী ওয়াপদার উচ্চমান সহকারী এ কে এম আমানুল হক গত ২৯ জুন মঙ্গলবার রাত ৮ টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জানা যায়, পরদিন বুধবার সকাল ৮টায় তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়ার সুহিলায় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। পারিবারিক জীবনে তিনি তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও তিন ছেলে রেখে যান। বড় ছেলে আনিস রাব্বানী পারিবারিক প্রয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ছোট্ট একটি চাকরি করেন। আর ছোট দুই ছেলে বাড়িতে থেকেই পড়াশুনা করেন এবং একমাত্র মেয়ে আরিফা জাহান ঊর্মি তার পিতার সাবেক কর্মস্থলের সূত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে অনার্স এবং ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
তার একমাত্র মেয়ে আরিফা জাহান ঊর্মি দেশ দর্শনকে জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসারসহ কিডনি, পা ও চোখের নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সে অনুযায়ী চিকিৎসাও চলছিল এবং গত বছর ভারত থেকেও দুইবার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। তিনি জানান, তার বাবার মৃত্যুর ধকল কাটিয়ে উঠতে তার পরিবারের হয়তো অনেক সময় লাগবে।
এদিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন কেওয়াটখালী ওয়াপদার সকল সহকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এ মর্মে অফিসের পক্ষ থেকে অফিসের প্রবেশমুখে একটি কালো ব্যানারও টানানো হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে দীর্ঘদিন তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাতিয়ারা ওয়াপদায় কর্মরত ছিলেন এবং কর্মসূত্রে কিছুদিনের জন্য সিলেটও ছিলেন।
ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]