ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সেপটিক
শনিবার দুপুরে কসবায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কায়েমপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জহির মিয়া (২০) ও বুগীর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে অনিক (২৭)। এছাড়া জাকির হোসেন নামে আরো একজন আহত হয়েছেন। তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার এবং শাটারিংয়ের কাঠ-বাঁশ সরিয়ে নিতে নির্মাণশ্রমিকেরা কাজ শুরু করেন। সেপটিক ট্যাংকে প্রথমে একজন শ্রমিক প্রবেশ করে তিনি কোনো কথা বলছিলেন না। এসময় অন্য একজন শ্রমিকও ভেতরে ঢুকে তিনিও আর কথা বলছিলেন না। এ সময় জাকির হোসেন ট্যাংকে নেমে তাদের অবস্থা দেখে চিৎকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনিও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এ বিষয়ে বায়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আল মামুন ভূইয়া জানান, নতুন সেপটিক ট্যাংকির ঢাকনা খুলে তিন শ্রমিক ভেতরে প্রবেশ করে দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় অপর শ্রমিককে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অক্সিজেন সংকটের কারণে তারা মারা গেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, নিহত দুজনের লাশ কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। তাদের ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীকালে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদিত্ব্য কামাল: নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]