অবশেষে সরকারকে এই বেকায়দা থেকে বের হওয়ার কায়দা করে দিলো বর্তমান বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন- চীনের উহান শহর থেকে জন্ম নেওয়া মানবঘাতক ‘করোনা’ নামের এক বিশেষ ভাইরাস। এই করোনার দোহাই দিয়েই সরকার মোদীর সফর বাতিল করেছে।
মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের ‘কসাই’ খ্যাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী তীব্র বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছিলো। এর বিপরীতে সরকারের লোকজনও ঘোষণা দিয়েছিলো- যে কোনো মূল্যে মোদী মুজিব জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এতে যারা বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
তবে এ বিষয়ে শুরু থেকেই খু্ব সতর্ক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে জনসম্মুখে মোদি ইস্যুতে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। কিন্তু কোনো কথা না বললেও সর্বসাধারণের মোদীবিরোধী আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে যে তিনি ভীষণ চিন্তিত ছিলেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
আরো পড়ুন> অধিকাংশ মুহতামিমই জাহান্নামী!
১৭ মার্চ যত এগিয়ে আসছিলো মোদী বিরোধী আন্দোলনও ততই বেগবান হচ্ছিলো। একই সাথে সরকারও পড়েছিলো বেশ বিপাকে। সরকার কার মন রাখবে? পুরো দেশের, নাকি মোদীর? সরকারের জন্য দু’টোই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বিগত দুই ‘নির্বাচনে’ মোদীজী সরকারের যে উপকার করেছে তা তো কোনোদিন ভুলবার মত নয়! আবার এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যদি দেশের জনগণ উল্টে যায়, তাহলে তো মহা বিপদ! কারণ দেশের অবস্থা ভালো নয়। কোন্ সময় কী ঘটে যায়, বলা তো যায় না।
এ বিষয়ে শুরু থেকেই খু্ব সতর্ক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে জনসম্মুখে মোদি ইস্যুতে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। কিন্তু কোনো কথা না বললেও সর্বসাধারণের মোদীবিরোধী আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে যে তিনি ভীষণ চিন্তিত ছিলেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
অবশেষে সরকারকে এই বেকায়দা থেকে বের হওয়ার কায়দা করে দিলো বর্তমান বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন- চীনের উহান শহর থেকে জন্ম নেওয়া মানবঘাতক ‘করোনা’ নামের এক বিশেষ ভাইরাস। এই করোনার দোহাই দিয়েই সরকার মোদীর সফর বাতিল করেছে। কসাই মোদীর সফর বাতিল হওয়ার পিছনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে এই ‘করোনা’। এতে বাংলাদেশর মাটি কসাই মোদীর পদভারে লাঞ্চিত হওয়া থেকে মুক্তি পেয়েছে। স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বংলাদেশের মানুষ। সরকার রেহাই পেয়েছে জনগণের আক্রোশ থেকে। খেলাটা অনেকটা এরকম হয়েছে- সাপও মরেছে, লাঠিও ভাঙ্গেনি।
অন্যদিকে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী নেতা-পাতি নেতারা বিভিন্ন বাহানায় যেভাবে জনগণের হাড়ভাঙ্গা শ্রমের টাকা উড়াচ্ছিলো ১৭ মার্চ আসার আগেই, এই অবস্থায় ১৭ মার্চ আসতে আসতে কত হাজার হাজার কোটি টাকা তারা মুজিব জন্মশতবর্ষের নামে লুটপাট করতো কে জানে! এ যেন ‘করোনা’ নয়, করুণা! এই ‘করোনা’র করুণায়ই হয়তো আমরা মহাদুর্নীতি থেকে বেঁচে যাবো।
জুনায়েদ আহমেদ: সংবাদকর্মী
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]