রবিবার রাত ৩:০১, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং

করোনারোধে আগের তুলনায় মানুষ বেশি ধর্মমুখী হচ্ছে

জুনায়েদ আহমেদ

সরকার মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া বা মসজিদে এসে নামাজ পড়তে নিরুৎসাহিত করায় মুসল্লিদের অনেকেই জোর আপত্তি জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, যাদের ভালো লাগে তারা মসজিদে এসে নামাজ পড়বেন, আবার যারা না আসতে চান তারা  বাড়িতে পড়বেন।

করোনাভাইরাস বর্তমান বিশ্বের কথিত সুপার পাওয়ার আমেরিকা, চীন, ইতালি, ফ্রান্সকে নাকানিচুবানি খাইয়ে পর্যুদস্ত করেছে। এ সব রাষ্ট্রের অর্থনীতি, পর্যটন, যোগাযোগ, চিকিৎসাব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। করোনা জন্ম নেওয়া চীন কয়েক মাস কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর ভয়ঙ্কর বিপর্যয় কাটিয়ে এখন কিছুটা ছন্দে ফিরলেও আমেরিকা, ইতালির অবস্থা খুব ভয়াবহ। ইতালিতে প্রতিদিন তিনশ, চারশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। আমেরিকাতেও প্রতিদিন শ, শ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

করোনার অস্তিত্ব এতদিন বাংলাদেশে প্রকাশ না পেলেও গেল সপ্তাহে প্রথম তিনজন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এরপর থেকে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এরইমধ্যে পরশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়।    সবমিলিয়ে সরকারি হিসাবমতে বাংলাদেশে সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ বিদেশ ফেরত বা তাদের সংস্পর্শে থাকা লোকজন।

বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ ধর্মপরায়ণ। তাই বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনা রোধে তারা আগের তুলনায় ধর্মের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। মুসলমানদের মসজিদে পাঁচওয়াক্ত নামাজে সর্বশ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে নিরোৎসাহিত করা হচ্ছে মসজিদে এসে জামাতের সহিত নামাজ পড়তে।

শহর-নগর, গ্রাম-গঞ্জে আজান হলেই মানুষকে মসজিদেন দিকে ছুটে আসতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে ছোট ছেলে-মেয়েকেও সাথে করে নিয়ে আসছেন। নামাজ শেষ হওয়ার পরও অনেক মানুষকে দোয়া, তাসবিহ, যিকিরে বাড়তি সময় কাটাতে  দেখা যাচ্ছে।

তারা মনে করছেন, করোনাভাইরাস আল্লাহপ্রদত্ত এক গজব। বর্তমান বিশ্বে মানুষ যেভাবে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্বলের উপর সবলের নির্যাতন , স্বেচ্ছাচারিতা, অশ্লীলতা, নগ্নতা-বেহায়পনার মত জঘণ্য কাজে জড়িয়ে পড়ছেন-এ কারণেই এমন ভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছে। তাই এ ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে এসব অপকর্ম ছেড়ে দেওয়া এবং বেশি বেশি স্রষ্টার সাহায্য চাওয়া ও সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে সরকার মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া বা মসজিদে এসে নামাজ পড়তে নিরুৎসাহিত করায় মুসল্লিদের অনেকেই জোর আপত্তি জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, যাদের ভালো লাগে তারা মসজিদে এসে নামাজ পড়বেন, আবার যারা না আসতে চান তারা  বাড়িতে পড়বেন। কিন্তু মসজিদ বন্ধের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

জুনায়েদ আহমেদ : সংবাদকর্মী

 

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply