শুধু মানুষের জীবন নয়, এখন চীনের অর্থনীতির জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। আর চীন যখন হুমকিতে, তখন বৈশ্বিক অর্থনীতিও নিরাপদে থাকতে পারছে না । করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। যদিও প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে, তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, তৈরি করা গেলেও সময় লাগবে প্রায় ৬ থেকে ১২ মাস।
স্বাভাবিকভাবেই এই সময়টায় উহান, হুবেই তথা পুরো চীন পৃথিবীর জন্য ভয়ের কারণ হিসেবে রয়ে যাবে। আর এই ভীতি একদিকে যেমন চীনের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তেমনি অন্যদিকে শ্লথ করে দেবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির চাকা।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানকে করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের অন্যান্য প্রদেশসহ এর বাইরে ২৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। উহান এলাকাটি ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অটোমোবাইল বা গাড়ি নির্মাণশিল্প।
নিসান, হোন্ডা ও জেনারেল মোটরসের কারখানা আছে উহানে । করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এসব কারখানা বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের অংশ হিসেবে উহানে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এর প্রভাব পড়বে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে।
২০১৯-এনসিওভি। এই নামেই পুরো বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নতুন করোনাভাইরাস । এই রোগের শুরু চীনে, এখন ছড়িয়ে গেছে বেশ কয়েকটি দেশে। মৃত্যুর সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও। শুধু মানুষের জীবন নয়, এখন চীনের অর্থনীতির জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস। আর চীন যখন হুমকিতে, তখন বৈশ্বিক অর্থনীতিও নিরাপদে থাকতে পারছে না।
যেহেতু চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক জিডিপিতেও এর প্রভাব পড়বে। কারণ , বিশ্বের মোট উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ আসে চীন থেকে।
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনে যাওয়া পর্যটকের পরিমাণ প্রচণ্ড পরিমাণে কমে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ চীন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন স্থান। একই সঙ্গে বিপদে পড়বে বিভিন্ন এয়ারলাইন কোম্পানিও। কারণ, দেখা দিতে পারে যাত্রীর আকাল।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]