আগামী তিন থেকে ছয়মাসের মধ্যেই মহামারী ও দুর্ভিক্ষ একসঙ্গে আঘাত হানবে। এরই মধ্যে ধীরে ধীরে সরকার ও উচ্চবিত্তদের ত্রাণভাণ্ডার খালি হয়ে যাচ্ছে। তবে এরমধ্যেও চলছে সারাদেশে জমজমাট ঈদের বাজার!
করোনাকে ‘ঈদের দাওয়াত’ দিয়ে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে নিয়ে আসা হচ্ছে। দিনদিন ভয়াবহ আকারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশে এ ভাইরাসটি পুরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়ছে। কেউ বলতে পারছে না এর শেষ কোথায়। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই আমেরিকা-ইতালিকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। আর আগামী তিন থেকে ছয়মাসের মধ্যেই মহামারী ও দুর্ভিক্ষ একসঙ্গে আঘাত হানবে। এরই মধ্যে ধীরে ধীরে সরকার ও উচ্চবিত্তদের ত্রাণভাণ্ডার খালি হয়ে যাচ্ছে। তবে এরমধ্যেও চলছে সারাদেশে জমজমাট ঈদের বাজার!
ঢাকা খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা আশফাক হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তালতলা মার্কেট, খিলগাঁও বিপণিবিতান মার্কেট, শান্তিনগর ইস্টার্ন প্লাস- এগুলিতে চলছে জমজমাট ঈদের ব্যবসা। সারাদেশে ২৩০০০ এরও বেশি আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশের মানুষ সচেতন হচ্ছে না। প্রশাসনও ব্যর্থ।
এদিকে গতকাল সোমবার সকাল দশটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফরিদুল হুদা রোড, কে দাস মোড়, পুরাতন কোর্ট রোড- এইসব জায়গায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানপাট, জুতার দোকান সবগুলাই খোলা এবং লোকে লোকারণ্য। সামাজিক অথবা দৈহিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই।
কোর্ট রোডের এফ এ টাওয়ারের কিছু দোকানীকে দেখা যায়, শাটার অর্ধখোলা রেখে কাস্টমার ডেকে নিয়ে বেচাকেনা করছে। জুতার দোকান প্রায় সম্পূর্ণ খোলা। আর হকাররা রাস্তার পাশে বসে আছে নানা রকম জিনিসপত্র নিয়ে। এ নিয়ে নাম বলতে অনিচ্ছুক বিজিবির দুজন সদস্য সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা সচেষ্ট আছেন, কিন্তু জনগণ তাদের মানছে না। মার্কেট করতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, করুণা বলে কিছু নেই, যদি আল্লাহ মরণ দেয় তাহলে মরে যাব।
প্রতিবেদক: এইচ এম জাকারিয়া
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]